লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে প্রতারক শাহীনের প্রতারনায় ডজন খানেক পরিবার সর্বশান্ত।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দৈনিক লক্ষ্মীপুর সংবাদ। লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার মধ্য দাস পাড়া গ্রামের প্রতারক তানভীর আহমেদ শাহীনের প্রতারনায় এক ডজন খানেক পরিবার সর্বশান্ত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিজেকে ঢাকার আলীগড় হাউজের বড় ব্যবসায়ী পরিচয়ে এলাকাতে নাম মাত্র দানবীরের বেশ ধারন করে নিজ পরিবার থেকে শুরু করে বাড়ি ও এলাকার লোকজনের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিরুদ্ধেশ থেকে সাতক্ষীরার জনৈক প্রতারকের আশ্রয় থেকে নতুন প্রতারনার শুরু করছে। তার প্রতারনার হাত থেকে রক্ষা পায়নি বোন মরিয়ম বেগম, ভাগ্নী জামাই  এবং ভাগীনিরা।
বিভিন্ন সুত্রে জানা যায় উপজেলার মধ্য দাসপাড়া গ্রামের বক্স আলী ব্যাপারী বাড়ির মৃত আব্দুল আজিজের পুত্র তানবীর আহমেদ শাহীন ঢাকার আলীগড় হাউজে কয়েক বছর পুর্বে একটি ষ্টেশনারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেয়। উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে বোন মরিয়মের পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে এবং বোনের জামাইয়ের সঞ্চিত টাকা হাতিয়ে নেয়। একই সাথে নানা কৌশলে শাহীন দাসপাড়া গ্রামের প্রতিবন্ধি অহিদ উল্যাহর পুত্র আরিফ হোসেনের কাছ থেকে ব্যবসার ২ লক্ষ টাকা,আবুল হোসেনের সন্তানকে বিদেশের ভিসার নাম দিয়ে ৫ লক্ষ টাকা,সোনালী ব্যাংক মতিঝিল কার্যালয়ের কর্মকর্তা আবুল বাসার থেকে হাওলাত বাবত ২ লক্ষ টাকা,গ্রামের শাহাজানের কাছ থেকে বিদেশের ভিসা বাবত ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে মালেশিয়া পালিয়ে যায়। মালেশিয়া যাওয়ার পরে সেখানে কয়েকজনের সাথে প্রতারনা করলে জনৈক ব্যক্তির মামলার জেল হাজতে যায়। মালেশিয়া জেলে থাকাবস্থায় ভাগীনা মিলন মামলা মিমাংসা করে প্রতারক শাহীনকে বুনাই নিয়ে যায়। বুনাই যাওয়ার পরে সাতক্ষীরার জনৈক প্রতারকের সাথে শাহীনের সম্পর্ক হয়। সেখানে ভাগীনা মিলনের সাথেও প্রতারনা করতে পিছু পা হয়নি। পরিস্থিতি ভয়াবহ দেখে ভাগীনা মিলন সহ স্বজনেরা শাহীনকে দেশে পাঠিয়ে দেয়। এতে করে প্রতারক শাহীন তার ভাগীনা মিলনের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো সহ নানা ভাবে হয়রানী করতে শুরু করে।
গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার সত্তে সাংবাদিকদের কে জানান,তানবীর হোসেন শাহীনের গ্রামের বাড়িতে যেমন কোন সম্পত্তি নেই। দেশের বিভিন্ন স্থানে লাগামহীন প্রতারনার করায় কয়েক দিন পর পর বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা,আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা বাড়িতে উপস্থিত হয়। গ্রামের লোকজন বলেন,শাহীন প্রতারনার মাধ্যমে আবুল হোসেনের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা নেওয়ার পরে ওই টাকা না পাওয়ায় আবুল হোসেন অসুস্থ্য হয়ে মারা যায়। টাকা নেওয়ার পরে সে আর এলাকাতে আসে না। তানভীর আহমেদ শাহীনের চাচা সফি আহমেদ বলেন,আমি দীর্ঘ সময়ে বিদেশ থাকাবস্থায় ২০১৯ সালে দেশে আসার পরে জানতে পারি শাহীন অনেক লোকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। কিন্তু আমার সাথে তার দেখা নেই। ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন বলেন,আমার কাছ থেকে ব্যবসার জন্য ২ লক্ষ টাকা  নেওয়ার পর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। অদ্যবদি তার দেখা মিলছে না সকল প্রকার যোগাযোগ বিছিন্ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *