নিউজ ডেক্সঃ- একটি সেতুর অভাবে লক্ষ্মীপুর জেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন চর কাছিয়া টুনুর চর। আর নিত্য ভোগান্তিতে কৃষক, শ্রমিক,রোগী,ছাত্র-ছাত্রীসহ প্রায় ৫০হাজার মানুষ।
লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার ৮ নং দক্ষিণ চর বংশী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড।এই ওয়ার্ডটি মেঘনার বুকে জেগে উঠা চর কাছিয়া, টুনুর চর। এই চরে বসবাস করে প্রায় ২ হাজার পরিবারের ১০ হাজার মানুষ। চরের মাঠে জমিন আছে লক্ষ্মীপুর ও রায়পুরের বাসিন্দাদের এবং ৪ নং চর রুহিতা ইউনিয়ন,দালাল বাজার,শাকচর চর সহ অনেক ইউনিয়নের মানুষের।এরসাথে ভোলা জেলার গোবিন্দগঞ্জের মানুষ ও এই চরের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। সবমিলিয়ে ৫০-৬০ হাজার মানুষ চলাচলের জন্য এই রাস্তাটি ব্যবহার করলেও পানির ঘাটসহ কয়েকটি খালে ছোট ছোট কয়েকটি ব্রীজ নির্মিত হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে। চরে উৎপাদিত ধান,সয়াবিন,মরিচ বাদামডহ নানান কৃষি পণ্য পরিবহনেও ব্যপক সমস্যা।
সেতুর অভাবে গড়ে উঠেনি কোন সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় বা উচ্চ বিদ্যালয়।গড়ে উঠেনি কোন স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র। ফলে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিশুরা,স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্চে চরের বিপুল সংখ্যক মানুষ।
চরের রাস্তাঘাট ব্রীজ কালভার্ট তৈরী করা হলে কৃষিপণ্য পরিবহন যেমন সহজ হবে তেমনি ব্যপক উন্নয়ন হবে চরের জীবণমানে।
বর্তমান ইউপি সদস্য লিটন গাইন জানান,এই চরকে লক্ষ্মীপুর জেলার মূল ভূখন্ডের সাথে সংযোগ করতে পানিরঘাট নামক স্থানে একটি সেতু নির্মাণে অনেক দেনদরবার করা হয়েছে। অনেক প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পরও সেতু নির্মাণ হয়নি। আমরা সাবেক চেয়ারম্যান হারুন মোল্লাকে সাথে নিয়ে একটি সেতু নির্মাণের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।