নিউজ ডেক্সঃ দৈনিক লক্ষ্মীপুর সংবাদ। লক্ষ্মীপুর রামগতিতে কৃষি জমিতে রাতের আঁধারে জবরদখল ও ভেকুদিয়ে ফসলী জমির মাটি কেটে বাড়ি করার অভিযোগ উঠেছে নিজাম উদ্দিন, জালাল মাঝি,হেলাল উদ্দিন সহ ৮ থেকে ৯ জনের বিরুদ্ধে।
গত ১ মে দিবাগত রাত ১০.০০ টার সময় রামগতি উপজেলার চরপোড়াগাছা ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ডে চর পোড়াগাছা গ্রামে করই তলা গুচ্ছ গ্রামে মোঃ আলাউদ্দিনের মালিকীয় দখলীয় ভূমিতে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় চর পোড়াগাছা মৌজার দিয়ারা ৪২ নং খতিয়ানের ৭৭৭ দাগে যাহা বর্তমানে মাট জরিপে আর এস ফাইনালে ৭০৫ নং খতিয়ানের ৩৬৫২ দাগে ৬৪ শতাংশ জমিন ২২-০৩-২০২৩ তারিখে রামগতি সাব-রেজিষ্টি অফিসে ৮৯৩ নং কবলা মূলে মালিক আলাউদ্দিন। এবং একই খতিয়ানে ২৫২ শতাংশ জমিন বায়না চুক্তি করে মালিক থাকিয়া ভোগ দখলে চাষাবাদ করে আসছেন আলাউদ্দিন।
আলাউদ্দিনের চাষাবাদকৃত ফসলী জমিতে রাতের আধাঁরে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ঘর দরজা নির্মান করে নিজাম, জালাল,ও হেলাল সহ ৮/৯ জনের সংঘ বদ্ধ দল। আলাউদ্দিন বাদা দিলে তাকে প্রানে মারার জন্য উদ্যত হয় তারা। আশেপাশের লোকজন আসাতে আলাউদ্দিন কে মারিতে না পেরে এই জমিতে আসলে প্রানে মারার ও হুমকি দেয় তারা।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী আলাউদ্দিন রামগতি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের বৃত্তিতে পুলিশ এসে ভেকুটি জব্দ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসীরা জানায় যে, সুলতান আহমদ মিয়ার ওয়ারিশ মোঃ মোস্তফা ও মোঃ হুমায়ুন কবির থেকে ৩১৬ শতাংশ জমিন সাব কবলা ও বায়না চুক্তি করেন আলাউদ্দিন। অন্যদিকে নিজাম উদ্দিন, জালাল মাঝি ও হেলাল উদ্দিনরা অন্য ওয়ারিশ থেকে খরিদ করে বলে জানা যায়।
আলাউদ্দিন চর পোড়াগাছা গুচ্ছ গ্রামের হাফেজ ইসমাইল সাহেবের বাড়ির মৃত জালাল আহমেদের ছেলে। অভিযুক্তরা একই এলাকার মৃত আলী হোসেনের ছেলে নিজাম উদ্দিন। মৃত রেজাউল হকের ছেলে জালাল মাঝি।ও মোঃ হেলাল উদ্দিন।
এবিষয়ে আলাউদ্দিন বলেন সুলতান আহমদের ওয়ারিশগন থেকে ৩১৬ শতাংশ জমিন খরিদ সূত্রে ও বায়না চুক্তি সূত্রে দখলে থাকিয়া চাষাবাদ করে যাচ্ছি। বিবাধীগন জোর পূর্বক রাতের আধাঁরে ভেকু দিয়ে ফসলী জমিনের মাটি কেটে ঘর দরজা তৈরি করে। আমি বাধা দিলে আমাকে প্রানে মারার জন্য উদ্যত হয়। আমার জমিতে আসলে প্রানে মেরে লাশ ঘুম করবে বলে হুমকি দেয়। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে রামগতি থানা লিখিত অভিযোগ করি।
এবিষয়ে নিজাম উদ্দিন ও জালাল মাঝি রাতের আধাঁরে ঘর দরজা তৈরি কথা অস্বীকার করে বলেন নিজের পৈত্রিক ও ওয়ারিশগনে থেকে খরিদ সূত্রে আমরা মালিক থাকিয়া আমাদের জমিতে দিনের বেলাতে ঘর দরজা নির্মান করি।
এবিষয়ে চর পোড়াগাছা ইউপি চেয়ারম্যান নুর আমিন ও ইউপ সদস্য জানান ঘটনা শুনেছি। একপক্ষ থানায় অভিযোগ করেছে, এবং উভয় পক্ষকে নিয়ে থানায় বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনার বিষয়ে রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন বলেন, অভিযোগের বৃত্তিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।