নিউজ ডেক্সঃ দৈনিক লক্ষ্মীপুর সংবাদ। মরণ ব্যাধি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু সুমাইয়া দশের সাহায্য নিয়ে বাঁচতে চায়। মাত্র ৬-৭ বছর বয়সের শিশু সুমাইয়া আক্তার দির্ঘদিন ধরে মরণ ব্যাধি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে লড়াই করে যাচ্ছে।
আজ থেকে প্রায় দেড় বছর আগে সুমাইয়া আক্তার অসুস্থ হয়ে ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়। তখন ডাক্তার বিভিন্ন পরিক্ষা নিরিক্ষা করলে তাঁর ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। সেই থেকে সুমাইয়ার ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা নিতে থাকে। এযাবৎ সুমাইয়ার অসহায় পিতা মাতা বহু কষ্টে প্রায় দেড় বছর ধরে সুমাইয়ার ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসার খরচ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের ক্যান্সার বিভাগের ডাক্তার বলেছেন প্রায় ৪-৫ বছর লাগাতার চিকিৎসা নিলে সুমাইয়া পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভবনা আছে।
বর্তমানে সুমাইয়ার পিতা মাতার যা সামান্য সম্বল ছিল তা-ও সুমাইয়ার চিকিৎসার পিছনে ব্যায় হয়ে গেছে। তাদের বসত ঘর ছাড়া অন্য কোনো সম্বল নেই সুমাইয়ার চিকিৎসার পিছনে ব্যায় করার।
সুমাইয়া আক্তারের পিতা মোঃ ইব্রাহিম (অটোরিকশা চালক)।মাতা উম্মে কুলসুম (গৃহিণী)। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার হাজিরপাড়া ইউনিয়নে রতনের খীল গ্রামে তার বাড়ি।
সুমাইয়ার অসহায় পিতা অটোরিকশা চালক মোঃ ইব্রাহিম সুমাইয়ার চিকিৎসার জন্য সাহায্য চেয়ে সোশাল মিডিয়া ফেসবুকে আবেদন করেন। তা অনেকের নজরে পড়ে।
নজরে পড়ে লক্ষ্মীপুর মান্দারী বাজার গ্রীন লাইফ মেডিক্যাল সেন্টার এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট সাংবাদিক ডঃ কামালুর রহিম সমরের। তিন বিষয়টিকে মানবতার দৃষ্টিতে দেখে মান্দারী বাজারের ব্যবসায়ী বন্ধুদের সাথে আলোচনা করেন। মরণ ব্যাধি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত ফুট ফুটে শিশু সুমাইয়া আক্তারের চিকিৎসার জন্য নগদ অর্থ ৩৮ হাজার টাকা অটোরিকশা চালক ইব্রাহিম এর হাতে তুলে দেন।
এভাবে ডঃ সমরের মতো দেশের বৃত্তবানরা একটু সাহায্য করলে অসহায় অটোরিকশা চালক ইব্রাহিমের ফুটফুটে শিশু মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত সুমাইয়া আক্তারের জীবন বেঁচে যাবে।