মান্দারীতে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে স্টাম্প ও খালি চেকে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে

নিউজ ডেক্স, দৈনিক লক্ষ্মীপুর সংবাদ।

লক্ষ্মীপুরের মান্দারী বাজার কাঁচা মাল ও ফল ব্যাবসায়ী সমিতির ৩৫ লাখ টাকা আত্মসাতের কারন দেখিয়ে জোর পূর্বক তালাবন্ধ করে অফিস কক্ষে ক্যাশিয়ার থেকে খালি চেক ও স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর ও অঙ্গিকারনামা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সমিতির সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও সহ-সাধারন সম্পাদক এর বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে সমিতির ক্যাশিয়ার হাফিজ উল্ল্যা গত ২৭ জানুয়ারি সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে চন্দ্রগঞ্জ থানায় সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন, সাধারন সম্পাদক ফারুক হোসেন,সহ-সভাপতি বাহার ও সহ-সাধারন সম্পাদক সোলেমান এর নাম উল্ল্যেখ করে অজ্ঞাত ২ থেকে ৩ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

তবে অভিযুক্তরা অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে বলেন জোরপূর্বক স্টাম্পে স্বাক্ষর বা চেক নেওয়া হয়নি প্রায়ই ২শতাধিক সদস্যের সামনে ক্যাশিয়ার সমিতির টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছে এবং স্ব-ইচ্ছায় কিভাবে টাকা পরিশোধ করবে তার চুক্তি নামায় স্বাক্ষর করেছে, আমাদের উপদেষ্টার কাছে সম্পূর্ন ঘটনার ভিডিও আছে।

থানার অভিযোগ ও সরেজমিনে গেলে ভোক্তভোগী থেকে জানা যায়, মান্দারী বাজার কাঁচা মাল ও ফল ব্যাবসায়ী সমিতির চার বারের নির্বাচিত ক্যাশিয়ার হাফিজ উল্ল্যাহ ২০০৯ সাল থেকে অধ্যবধি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে আসছেন,সাম্প্রতিক সমিতির নির্বাচনী তফসিল ঘোষনার সময় সমিতির হিসেবের গড়মিল দেখা দেয়, তাছাড়া সমিতির সম্পত্তি বাজারের দোকান ঘর বিক্রির টাকা সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক যোগসাজশগে আত্মসাৎ করার বিষয়টি ক্যাশিয়ারের নজরে আসলে,সমিতির সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারন সম্পাদক, সহ-সাধারন সম্পাদক,ক্যাশিয়ার কে গত মাসের ২৪ জানুয়ারি সমিতির কার্যালয়ে তালাবদ্ধ করে খালি চেক ও স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর ও অঙ্গিকার নেওয়ার অভিযোগ করেন ভোক্তভোগী ক্যাশিয়ার হাফিজ উল্ল্যা।

এ বিষয়ে জানতে সমিতির কার্যালয়ে গেলে তালাবদ্ধ দেখা গেছে, এরপর অভিযুক্ত সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন মুঠোফোনে একাধিকবার কল করে পাওয়া যায়নি ও সাধারন সম্পাদক ফারুক হোসেন মুঠোফোনে কথা বলতে চাননি তবে সহ-সাধারন সস্পাদক সোলায়মান জানান,ক্যাশিয়ার সকল ক্যাশের তথ্য দিবে, সেখানে সে ক্যাশের তথ্য দেখাতে গিয়ে সঠিক হিসেব দিতে পারেনি, অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন জোরপূর্বক স্টাম্পে স্বাক্ষর বা চেক নেওয়া হয়নি প্রায়ই ২শতাধিক সদস্যের সামনে ক্যাশিয়ার সমিতির টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছে এবং স্ব-ইচ্ছায় কিভাবে টাকা পরিষদ করবে তার চুক্তি নামায় স্বাক্ষর করেছে, আমাদের উপদেষ্টার কাছে সম্পূর্ন ঘটনার ভিডিও আছে।

এ দিকে চন্দ্রগঞ্জ থানার অভিযোগের তদন্তকর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক এস আই মোস্তাফা মুঠোফোনে জানান,সমিতির কার্যকরি কমিটির ২ পক্ষের মধ্যে অনেক গ্যাপ রয়েছে এবং সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক যেমন উদাসীন তেমনি ক্যাশিয়ার ও উদাসীন তদন্ত করে উপদেষ্টা মন্ডলীর সাথে কাগজপত্র নিয়ে বসে তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *