নিউজ ডেক্সঃ দৈনিক লক্ষ্মীপুর সংবাদ। লক্ষ্মীপুর রামগতিতে ভূমি দস্যুর কবল থেকে নিজের খরিদকৃত সম্পত্তি রক্ষা করতে আইনের সহায়তা চান ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন।
লক্ষ্মীপুর রামগতি উপজেলার চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের ৮ নংওয়ার্ডে আদর্শ মসজিদ এলাকায় ৪৭নং চরপোড়াগাছা মৌজার রিভিশন জরিপে ৭৪৬/৫৪০ নং খতিয়ানের সবেক ৪০৫/৪০৬ নং দাগ হালে ২১০৯ দাগে ৫৮ শতাংশ জমিন ২৩/০২/২০২২ ইং সনে জনৈক ছেমনা আফরোজ থেকে সাব রেজিষ্ট্রি অফিস রামগতি লক্ষ্মীপুর ৬৫১ নং দলিল মূলে খরিদ সূত্রে মালিক স্থানীয় রামদয়াল বাজরের ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন।এই ৫৮ শতাংশ জমি দখল বুঝে নিয়ে একটি ঘরও নির্মান করেন তিনি।তার কিছু দিন পর স্থানীয় ভূমি দস্যুর মূল হোতা গিয়াস উদ্দিন ওই ৫৮ শতাংশ জমিনের মালিক দাবি করে জব্বর দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তার ভূমি দস্যু সিণ্ডিকেট বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে ঝগড়া বিবাদ করে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। একসময় রাতের আধারে ভূমি দস্যু সিণ্ডিকেট বাহিনী দিয়ে ব্যবসায়ীর নির্মানকৃত ঘর ভাংচুর করে লুটপাট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন আলতাফ হোসেন। এসব বিষয়ে বিচার চেয়ে রামগতি থানায় একাধিক বার অভিযোগ ও মামলা করেন ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন।
এদিকে ভূমি দস্যুর মূল হোতা গিয়াসউদ্দিনের দাবি কৃত ৫৮ শতাংশ জমি জৈনক ফয়েজের রহমান, আজিজুর রহমান, ও মহি উদ্দিন থেকে ০৪/১০/২০১৭ইং সনে সাব-রেজিষ্টি অফিস রামগতি,১৯৭৭নং কবলা মূলে খরিদ সূত্রে দাবি করেন।যার কাগজিক জাল জালিয়তি কারণে আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর আদালতে ভূমি দস্যুর মূল হোতা গিয়াসউদ্দিন কে প্রধান আসামী করে ৪ জনের বিরুদ্ধে সি আর মামলা নং ১২৬/২২ দায়ের করেন।প্রতারণা করে ১৯৭৭ নং জাল দলিল সৃজন করার অপরাধে ভূমি দস্যু গিয়াসউদ্দিন কে জেল হাজতে পাঠায় আদালত।
আলতাফ হোসেন জানান, জৈনক ছেমনা আফরোজ থেকে সাব কবলামূলে ৫৮ শতাংশ জমি খরিদ করেন তিনি। স্থানীয় ভূমি দস্যু সিণ্ডিকেটের মূল হোতা গিয়াসউদ্দিন জাল দলিল করে তার নিজের জমি দাবি করে তার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকা দাবি করেন।টাকা না দেওয়ায় তার জমিতে নির্মানকৃত ঘর রাতের বেলা ভাংচুর করে নিয়ে যায়। তাকে বিভিন্ন সময় প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। তিনি আরও বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইনের সহায়তা ফেলে ভূমি দস্যুর কবল থেকে নিজের খরিদকৃত সম্পত্তি রক্ষা হবে বলে মনে করেন আলতাফ হোসেন।