নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দৈনিক লক্ষ্মীপুর সংবাদ। লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জে আথাকরা দেহলায় গড়ে উঠেছে মেসার্স মদিনা ব্রিকস ম্যানফ্যাকচার্স ও মেসার্স জে বি ম্যানফ্যাকচার্স নামে পরিবেশ দূষণকারী অবৈধ ইট ভাটা।
পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসনের অনুমোদনহীন এই দুটি ইট ভাটায় পুড়ছে কাঠের গুড়ি, জুট, ধানের তুঁষ ও কালো তেল। হুমকির মুখে পরিবেশ।ইট ভাটার কালো ধোঁয়ায় বিষাক্ত হয়ে উঠেছে এলাকার জনপদ। অন্যদিকে ইট ভাটাকে ঘিরে দানব হাইড্রলিক্স ও পাওয়ার টিলা (ট্রেক্টার) যাতায়াতে ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা। এ সব ইট ভাটায় কাজ করতে এসে দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত হয়েছেন অনেকে।
উল্লেখ যে ২০২০ সালে মেসার্স মদিনা ব্রিকস ম্যানফ্যাকচার্স নামে দুটি ইট ভাটার মধ্যে একটিতে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালো তিন শ্রমিক। ২০২১ সালে এসে মালিক পক্ষ এটি বন্ধ রেখে অন্য টি চালিয়ে আসছে। এবার দুটি ইট ভাটা চালিয়ে যাচ্ছে মেসার্স মদিনা ব্রিকস এর মালিক আমির হোসেন ডিপজল এবং জে বি ব্রিকস এর মালিক জাহাঙ্গীর আলম। অভিযোগ রয়েছে যে ইটভাটা তৈরিতে নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে চুক্তিভিত্তিক শিশুদের নিয়োগ অল্প টাকায় শ্রমিক খাটিয়ে ইট পোড়াচ্ছেন ভাটার মালিকরা। এতে ইট ভাটার কালো ধোঁয়া আশেপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ পরিবেশ দুষিত করে তুলছে। পাশাপাশি চলছে ফসলি জমির মাটি কাটার হিড়িক। ইটের মাটি সংগ্রহ করতে কৃষকদের লোভনীয় আফার দিয়ে ফসলি জমির উর্বর অংশ কেটে নেওয়ায় ভাটার আশেপাশের ফসলি জমি কমে যাচ্ছে প্রতিবছর। ফলে ফসলের লক্ষ্যমাত্রা হুমকির মুখে পড়ছে। এ ছাড়াও ইটভাটাকে ঘিরে বাড়ছে অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড।
স্থানীয়রা বলেন প্রশাসনের নাকের ডগায় ইট ভাটা তৈরি হচ্ছে। অভিযোগ করলে-ও প্রশাসন আমলে নিচ্ছেন না।
এলাকাবাসী মনে করেন ইটভাটার মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় অবৈধ ইটভাটা তৈরি করতে পারে।আর প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় ইটভাটার আশেপাশে মাদক বেচাকিনা বেড়ে চলেছে দিন দিন।প্রতিবছর পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে এসব অবৈধ ইটভাটা।এলাকাবাসী এসব অবৈধ ইট ভাটার কার্যক্রম বন্ধে জেলা উপজেলা প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।