নিউজ ডেক্সঃ- গত কয়েকদিনে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় লক্ষ্মীপুর জুড়ে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আক্রান্তের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। রোগীর চাপ বাড়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
গত তিন দিনে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে প্রায় সাত’শতের মতো ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। তন্মোধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যা ২৬০জন। প্রতিদিন হাসপাতালে গড়ে ভর্তি হচ্ছে প্রায় একশ শিশু। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর চিত্রও একই। লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, আউটডোরে শিশু রোগীর চাপ চোখে পড়ার মতো। বেশিরভাগ রোগীই ছিলো ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। এদের মধ্যে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যাই বেশি।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বাংগাখা ইউনিয়নের শেফালির দুই বছরের ছেলে দুইদিন ধরে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। চিকিৎসা নিতে সদর হাসপাতালে এসেছেন। দুই দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর মোটামুটি সুস্থতার দিকে রয়েছেন। তানিয়া নামক আরেক স্বজন জানান, তার দেড় বছরের ছেলেকে নিয়ে গতকাল থেকে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তবে কাল থেকে আজ পর্যন্ত দেখা পাননি কোনো চিকিৎসকের। নার্সের তত্ত্বাবধানেই চলছে চিকিৎসা।
এসময় ওই হাসপাতালে আগত একাধিক সেবা গ্রহীতারা জানান, ঠান্ডা বাড়ার সাথে সাথে বাড়েছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ। গেলো তিন দিন ধরে হাসপাতালে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে হাসপাতালে কোন শয্যা খালি না থাকায় ফিরে যেতে হচ্ছে অনেককে। শিশু ওয়ার্ডগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি বেডে তিন থেকে চার শিশুকে ভর্তি দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি অনেককেই মেঝেতে রেখেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এতে করে শিশুরা পড়ছে আরো ভোগান্তিতে। কর্তব্যরত চিকিৎসক কমলাশীষ রায় বলেন, ঠান্ডার কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ বেড়েই চলছে। এটি সামনে আরো বাড়ার আশঙ্কা করছেন তিনি। এসময় শিশুদের গরম কাপড় পরিধান ও হালকা গরম পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।