লক্ষ্মীপুরে সুপারি চোরকে হাতানাতে ধরে বিপাকে নিরিহ প্রবাসী পরিবার।

নিউজ ডেক্সঃ- লক্ষ্মীপুরে রাতের বেলায় গাছে উঠে সুপারি চুরির ঘটনায় চোরের পরিবারের মিথ্যা মামলায় বিপাকে পড়েছেন নিরিহ চা দোকানীসহ সুপারী গাছের মালিক প্রবাসীর বৃদ্ধ বাবা ইব্রাহিম খলিল। 

জানা যায়,গত ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন কুশাখালী ইউনিয়নে পূর্ব কল্যাণপুর মিয়াজান বাড়ির সৌদি প্রবাসী হাছান মাহমুদের পিতা ইব্রাহিম খলিলের বাগানের সুপারি গাছ থেকে সুপারি চুরি করে পাশ্ববর্তী বশির উল্যা বাড়ির নিজামের ছেলে ফাহাদ।

এসময় ইব্রাহিম খলিলের ভাতিজা নিজাম উদ্দিন তার চা দোকান থেকে বাড়িতে গেলে ফাহাদকে হাতেনাতে গাছে ধরে নিজাম সহ বাড়ির লোকজন।
ফাহাদ দৌড়ে পালিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পর তার বাবা ক্ষিপ্ত হয়ে নিজাম উদ্দিন কে মারতে টেঁঠা নিয়ে তার বাড়ীতে আসে। নিজামকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যেতে চাইলে বাড়ির লোকজনের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ফাহাদের বাবা নিজাম উল্টো দাশের হাট ফাঁড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করে। দাসের হাট ফাঁড়ি থানার এস আই মোঃ ফয়সাল ঘটনাটি শুনে ফাহাদের বাবা নিজামের ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে। এরপরও সুপারি চোরার বাবা নিজাম তার বাড়িতে হামলা ও লুটপাট করেছে বলে মিথ্যা অভিযোগ এনে গাছের মালিক ইব্রাহিম ও তার ভাতিজা নিজামসহ বাড়ির মহিলাদের বিবাদী করে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সাজানো মামলা করে যাহার নং-সি আর ৮৫৭/২৪। মামলার সাক্ষীগণও এ সাজানো মামলার পক্ষে মিথ্যা সাক্ষী দিতে রাজী নয়।

সরেজমিনে গিয়ে যানা যায়,নিজামের ছেলে ফাহাদ এলাকায় নারিকেল সুপারি চুরিসহ নানান অন্যায়ের সাথে জড়িত। কিছুদিন আগেও জুয়েল নামে এক জনের নারিকেল চুরির ঘটনায় তার মাথার চুল কেটে দেয়। তাদের বাড়িতে গিয়ে ভাংচুরের কোন আলামত ও দেখা যায়নি।

এলাকার স্থানীয় জসিম ও ফারুক জানান,চ দোকানদার নিজাম ফাহাদকে সুপারি চুরি করতে দেখে হাছান মাহমুদের বাবা ইব্রাহিম মিয়া জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে ফাহাদের বাবা সাজানো মামলা দিয়ে দোকানদার নিজামসহ নিরিহ লোকজন কে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। প্রকৃত পক্ষে কেউ ফাহাদের বাড়িতে যায়নি কেউ হামলা করেনি। উল্টো চোরের বাবা এলাকার মাস্তান দিয়ে লোকজনকে হয়রানি করছে।

ঐ বাড়ির ছকিনা বেগম ও খতিজা বেগম জানান আমরা ফাহাদকে সুপারি চুরি করতে দেখেছি। এরা এলাকায় মানুষের নারিকেল সুপারি চুরি করে। উল্টো বাড়িঘর ভাংচুরের মিথ্যা মামলা দিয়ে এখন আবার চাঁদা দাবি করছে।

সুপারি বাগানের মালিক ইব্রাহিম খলিল জানান,তিনি দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। এখন তিনি বাড়ীতে থাকেন। তার ছেলেরা এখন প্রবাসি। এই সুযোগে ফাহাদ তাদের নারিকেল সুপারি চুরি করে নিয়ে যায়। কিছুদিন আগে আমার ৫ টা গরু চুরি করে নিয়ে যায়। এখন উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
চা দোকানি নিজাম জানায়, ঘটনার দিন রাতে দোকান থেকে বাড়িতে আসলে গাছে লাইট দিয়ে ফাহাদকে দেখতে পায়। পরে শোর চিৎকারে লোকজন আসলে ফাহাদ দৌড়ে পালিয়ে যায়। এখন তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করছে।
এঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *