নিউজ ডেক্সঃ- লক্ষ্মীপুরে সাবেক সেনা সদস্যর বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ এনে মামলা করেন এক বিধবা মহিলা। ধর্ষনের মামলা থেকে বাঁচতে নিরীহ ড্রাইভারকে সাজানো চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে। এই দিকে ধর্ষিতা নারী বাদী হয়ে অভিযুক্ত আঃ মালেকে আসামী করে লক্ষ্মীপুর মডেল থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করে।
এ ঘটনা কে নিয়ে এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ড পশ্চিম লক্ষ্মীপুর মহব্বত আলীর বাড়ির অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মৃত আবদুল হকের ছেলে আবদুল মালেক একই বাড়ির বিধবা মহিলাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় বিচার চাইলে ধর্ষিতা নারীকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে।
এনিয়ে ঐ এলাকার তাকবির হোসেন (ড্রাইভার) সমাজের বিভিন্ন জনের কাছে বিচার চেয়ে ধর্ণা দেয়।
তাকবিরকে থামাতে অভিযুক্ত সাবেক সেনানসদস্য লক্ষ্মীপুর মডেল থানায় তাকবিরের বিরুদ্ধে সাজানো চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে।
এ বিষয়ে তাকবির জানান, আমি গাড়ীর ড্রাইভার। মালেক আমার বিধবা মামীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনার বিচার চাওয়ায় আমার বিরুদ্ধে সাজানো চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে।
স্হানীয় মোহন মিয়া জানায় তাকবিরকে কখনো মাদকের সাথে দেখিনি। তবে সাবেক সেনা সদস্য আঃ মালেক নিরীহ বিধবাকে ধর্ষণ করেছে বলে শুনেছি।
একই এলাকার চা দোকাননদার বাবুল মিয়া জানান, তাকবির গাড়ী চালিয়ে জীবিকানির্বাহ করে। মাদকাসক্ত বা কারবারের সাথে জড়িত নয়। আঃ মালেক ধর্ষনের মামলা থেকে বাঁচতে সাজানো চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর মডেল থানার ওসি জানান, ধর্ষনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারে প্রচেষ্টা চলছে।
এবিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন করলেও সাবেক সেনাসদস্য আঃ মালেক ফোন রিসিভ করেননি।