নিজস্ব প্রতিনিধঃ-৫ই আগস্ট পরবর্তী দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশব্যাপী উন্মুক্ত রাজনৈতিক জনসভা আয়োজন করার সুযোগ পায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তারই ধারাবাহিকতায়
লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা শাখা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে জনতার ঢল নামে। প্রায় ১৫ হাজার কর্মীর সমাবেশ ঘটে এই কর্মী সম্মেলনে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর( সাবেক সংসদ সদস্য) ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা নতুন এক বাংলাদেশ পেয়েছি। পেয়েছি নতুন করে দেশ গড়ার সুযোগ, আমাদের সবাইকে সম্মিলিত ভাবে এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। আমরা দ্রুত নির্বাচন চাই, তবে তা হতে হবে জনগণের অংশগ্রহণ মূলক।
জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। বর্তমান সরকারের কাছে আমাদের দাবি হচ্ছে দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল সংস্কার কাজ শেষ করে নির্বাচিত সরকারের কাছে যেন ক্ষমতা হস্তান্তর করে।পাশাপাশি আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি যে কোন ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার জন্য।
শনিবার (৯ ই নভেম্বর) বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন প্রতাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
চন্দ্রগঞ্জ থানা জামায়াতের আমির, মুহাম্মদ মোস্তফা মোল্লা’র সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী রেজাউল ইসলাম খান সুমন’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েব আমীর, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগরী উত্তর সেক্রেটারী ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, লক্ষ্মীপুর জেলা আমীর, এস ইউ এম রুহুল আমিন ভূঁইয়া, নায়েব আমীর এ্যাড. নজির আহমদ ও এ আর হাফিজ উল্যাহ, সেক্রেটারী মাও. ফারুক হোসাইন মু. নুরনবী, সহ-সেক্রেটারী মাও. নাছির উদ্দিন মাহমুদ ও এ্যাড. মহসিন কবির মুরাদ।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর আব্দুল হান্নান, সেক্রেটারী মো. মাহফুজুর রহমান, ইউনিয়ন ও থানা জামায়াতের মো. দেলোয়ার হোসেন, এনামুল হক রতন, নজরুল ইসলাম টিটু, আবুল কালাম আজাদ, মাও. ইস্রাফিল আহম্মেদ, কফিলউদ্দিন কলেজেের সাবেক ছাত্র শিবিরের সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন প্রমূক।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন, ৪ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে লক্ষ্মীপুরে নিহত চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন উত্তর জয়পুরের শহীদ কাউছার হোসেন বিজয়ের পিতা ফিরোজ আলম। তিনি হত্যার সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবী করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা গত ১৭ বছরের নির্যাতনের কথা তুলে ধরে অনেকেই আবেগ তাড়িত হন। এছাড়াও বাংলার জমিনে জামায়াত ইসলামী ছিল থাকবে, কোন স্বৈরাচার বা ফ্যাসীবাদ সরকার তাদের দমন করতে পারবেনা। বিগত সরকার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল, আল্লাহর উপযুক্ত বিচারে তাদেরকেই এই দেশ থেকে কাপুরুষের মত পালিয়ে যেতে হয় বলে মন্তব্য করেন।