লক্ষ্মীপুর চন্দ্রগন্জে জমজমাট ঈদের বাজার, চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা।

মোঃ ইসমত দ্দোহা,প্রতিনিধি। লক্ষ্মীপুর চন্দ্রগন্জে ঈদের বাজার, চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। পবিত্র ঈদুল ফিতরের আর মাএ তিনদিন বাকি আছে তবে এখনো শেষ হয়নি মানুষের ঈদ বাজার। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীণ হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতা -বিক্রেতা সবাই ব্যস্ত সময় পার করছে দম ফেলার সময় নেই, কথা বলারও সময় নেই কারও সবাই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার অন্যান্য বাজারের চাইতে চন্দ্রগন্জ বাজারের রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ীক গুরুত্ব অনেক ভিন্ন। বৃহত্তর  নোয়াখালীর চৌমুহনী বানিজ্যক কেন্দ্রের পরেই বলা যায় এ অন্চলে গুরুত্বপূর্ণ বাজার হচ্ছে এই চন্দ্রগন্জ বাজার। লক্ষ্মীপুর জেলার পাশাপাশি চাটখিল, বেগমগঞ্জ এলাকার ক্রেতা ও বিক্রেতাদের বিশাল এক সমাহার এই বাজারে। সব ধরনের পন্য সামগ্রী পাওয়া যায় কম দামে, রয়েছে ব্যাংক, বীমা ও এনজিওর মাধ্যমে নিরাপদ আর্থিক লেনদেনের সুবিধা, প্রশাসনিক নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সবকিছু মিলিয়ে ক্রেতা-  বিক্রেতারা সুন্দর সময় কাটাচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর – নোয়াখালী  অঞ্চলের অধিকাংশ কর্মজীবী পুরুষ প্রবাসী হওয়ায় বাজারে নারী ক্রেতাদের আধিক্য বেশি, বলা যায় চন্দ্রগন্জসহ আশেপাশের বাজারগুলো বর্তমানে নারী ক্রেতা  প্রধান বাজার হয়ে গেছে, যেটা বলা যায় ব্যবসায়ীদের জন্য এক প্রকার আশীর্বাদ স্বরূপ।
চন্দ্রগন্জ বাজার ঘুরে দেখা যায়  মুূদি দোকান, গার্মেন্টস দোকান, কসমেটিকস দোকান ও দর্জিবাড়িতে ক্রেতাদের ভিড় প্রচুর। পরিবারের জন্য, আত্মীয় স্বজনের জন্য সেমাই চিনি ও ঈদের বাজার করছেন ক্রেতারা, দোকানীদের সাথে কথা বলে জানা যায় জামা কাপড় ও কসমেটিকস এর দাম গত বছরের তুলনায় অনেক বেড়েছে, লাভ সীমিত। বেশি দামে ক্রেতারা বিরক্ত হলেও বেচাকেনা ভালোই হচ্ছে।
চন্দ্রগন্জ বাজার বণিক সমিতির যুগ্ম -সাধারণ সম্পাদক, চন্দ্রগন্জ বাজার ইজারাদার ও থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক কাজী মামুনুর রশীদ বাবলু ‘র সাথে কথা বলে জানা যায় চন্দ্রগন্জ বাজারে ছোট – বড়ো মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার দোকান আছে। স্বাভাবিক সময়ে ব্যবসায়ীরা দৈনিক ৫-৭ কোটি টাকার আর্থিক লেনদেন করে, রোজার সময়ে এই লেনদেন  ১০ – ১৫ কোটি টাকা পর্যন্ত বেড়ে যায়। তিনি আরও  বলেন আমাদের বাজারের ব্যবসায়ীক পরিবেশ সুন্দর রাখার জন্য বাজার কমিটি, স্হানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও প্রশাসনের সমন্বয়ে আমরা কাজ করি।
চন্দ্রগন্জ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ও চন্দ্রগন্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ -সভাপতি এম ছাবির আহমেদ বলেন আমাদের এই বাজারে ক্রেতা – বিক্রেতারা নির্বিঘ্নে ব্যবসা – বানিজ্য করে আর্থিক লেনদেন করে গভীর রাত পর্যন্ত। এক সময় এই বাজারে মানুষ উঠতে ভয় পেতো, কখন কোন বিপদে পড়ে। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমরা স্হানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও প্রশাসনের সমন্বয়ে সকল ভয়ভীতি দূর করে ক্রেতা – বিক্রেতাদের জন্য সুন্দর ব্যবসায়ীক পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা বাজারে মাঝেমধ্যে ঘটে, এটা অনেক বড় বাজার কয়েক হাজার মানুষের আনাগোনা হয় নিয়মিত তবে প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে আমরা যে কোন ধরনের সমস্যা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত রাখি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *