নিজস্ব প্রতিবেদকঃ লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলাধীন ৩ নং চর লরেঞ্চ ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী চর লরেঞ্চ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভূমি বেদখল হওয়াসহ নানান অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের একাংশ জুড়ে কৃষি অধিদপ্তরের পুষ্টি বাগানের প্রদর্শনীর জন্য প্রায় ১২ শতাংশ ভূমি চাষ করা হয়। এতে এলাকার কয়েকজন অভিভাবক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
অন্যদিকে বিদ্যালয়ের মাঠের পশ্চিম পাশে প্রায় ১৫ শতাংশ বিদ্যালয়ের ভূমি জবরদখল করে আছে ফরিদ মাস্টার।এ ফরিদ মাস্টার প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক দোলনের নিকটাত্মীয় হয়।
এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক দোলন বলেন, এর আগেও দুইবার জমি পরিমাপ করা হলেও জবরদখল থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।আর পুষ্টি বাগানের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, খেলার মাঠের পাশে বিদ্যালয়ের জমিতে বিদ্যালয়ের সভাপতি মৌখিক সম্মতিতে উপজেলা কৃষি অফিস সবজি পদর্শনীর জন্য এখানে সবজির চাষ করছে এতে খেলাধুলার সমস্যা হবেনা।
এর থেকে উৎপাদিত শাক-সবজি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ও এলাকাবাসীদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
অন্যদিকে এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিভাবক জানান, ছোট ছোট শিশুরা এ মাঠে খেলাধূলা করতো, চাষাবাদের কারনে তারা মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকে।খেলার মাঠ নষ্ট করে বাগান করার প্রতিবাদ জানাই।
কমলনগর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ শাহীন রানা জানান, আমরা মৌখিক অনুমতি নিয়েই প্রদর্শনী মূলক বাগান করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিরোধপূর্ণ বা এলাকাবাসীর আপত্তি থাকলে আমরা সেখানে বাগান করবো না।
বিদ্যালয়ের সাবেক কমিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেন খোকন চেয়ারম্যান বলেন, এই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় আশার পর জালিয়াতি করে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার নাম পরিবর্তন করে প্রধান শিক্ষকের পিতা নাম ফজলুল করিম হাওলাদার নামকরণ করে
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি কমলনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাস জানান, পুষ্টি বাগানের আমি অনুনতি দিইনি, ভুমি জবরদখলের বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম।অচিরেই ভূমি পরিমাপ করে বিদ্যালয়ের জমি জবরদখল থেকে উদ্ধার করা হবে।