লক্ষীপুর -১, রামগঞ্জ বাসির প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে মনোনয়নপত্র কিনলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা হাবিবুর রহমান পবন।

দৈনিক লক্ষ্মীপুর সংবাদ। লক্ষীপুর -১  রামগঞ্জ বাসির প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে মনোনয়নপত্র কিনলেন ঢাকা প্রেসক্লাব এর উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবন।
গত ১৮ নভেম্বর শনিবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ করেন তিনি। লক্ষ্মীপুর-১ রামগঞ্জ  সংসদীয় আসনের জন্য এই মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি ছাত্র জীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পবন ১৯৮৩ সালের ঢাকা মহানগর ৬৬ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৮৫ সালে মহানগর ছাত্রলীগের নির্বাহী সদস্য, ১৯৮৭ সালে মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ও ২০১২ সালে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক নির্বাচিত হন।
হাবিবুর রহমান পবন ২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৮৫ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে দীর্ঘ নয় মাস কারা বরণ করেন। এ ছাড়া জোট বিরোধী আন্দোলনে নানক আজমের নেতৃত্বে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। পবন ২০০৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সাংগঠনিক টিমের দায়িত্ব পালন করেন। বিশেষ করে কক্সবাজার চাঁদপুর জেলার সাংগঠনিক দায়িত্ব ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ বিভাগের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রাজপথের আওয়ামী লীগের লড়াকু সৈনিক।
এছাড়াও পবন রামগঞ্জের বিভিন্ন ধর্মীয় কাজ বিশেষ করে মসজিদ মাদ্রাসা ও মন্দির বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন। সামাজিক ও রাজনীতি কর্মে বিশেষ করে তিনি রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ডেভেলপমেন্ট কমিটির সম্মানিত সদস্য। সভাপতি বুড়িমারী শিল্প মালিক সমিতি। সাধারণ সম্পাদক বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানিকারক ও রপ্তানি কারক গ্রুফ। সাংগঠনিক সম্পাদক উষাএীড়া চক্র। আজীবন সদস্য লক্ষীপুর জেলা সমিতি। ও ঢাকা প্রেসক্লাব এর উপদেষ্টা।
জনাব পবন বলেন, আমার জীবন সংগ্রাম টাই বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন আদর্শের জন্য। যে বঙ্গবন্ধু না হলে বাংলাদেশের কথা চিন্তা করা যেত না, তেমনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না হলে এদেশের উন্নয়নের কথা চিন্তা করা যেত না। আজ বাংলাদেশ আত্মনির্ভরশীল উন্নয়ন মুখী দেশ হিসেবে বিশ্বের দরবারে পরিচিত। পদ্মা সেতু থেকে শুরু করে এদেশে বড় রাষ্ট্রীয় কাঠামো গুলো জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতের গড়া। উন্নয়নের জননী বলতে শেখ হাসিনা কে বুঝায়। তাই আমি আমার নেত্রীর সাধারণ কর্মী হিসেবে রামগঞ্জবাসীর জন্য কাজ করতে চাই। বিগত দিন গুলিতে রামগঞ্জে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী না থাকায় রামগঞ্জ উপজেলা উন্নয়ন থেকে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। দলের ভিতর বিভিন্ন বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে। আমার জীবন সংগ্রাম টাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির জন্য তাই আমি আশা করব নেত্রী আমাকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন। এবং রামগঞ্জ অবহেলিত মানুষের উন্নয়ন ও সেবা করার সুযোগ করে দিবেন।
তিনি বলেন, সুস্থ ধারার ব্যক্তিত্ব সম্পূর্ণ মানুষরাই সমাজের ভালো নেতৃত্ব দিতে পারে। আমি নির্বাচিত হলে সমাজে মদ, গাজ, হেরোইন, ইভটিজিং সহ অহিংস কার্যকলাপ থেকে রামগঞ্জবাসীকে মুক্তি দিতে পারব।
তিনি আরও বলেন, জীবনে সকল সময়ে আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছি। নেত্রী যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে আমি রামগঞ্জকে উন্নয়নমুখী সামাজিক ব্যবস্থা স্মার্ট ও ডিজিটাল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টায় করবো।আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের আশা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে একটি সুখী সমৃদ্ধ রামগঞ্জ উপজেলা গড়ে তুলবো। ইনশাআল্লাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *