নিউজ ডেক্সঃ দৈনিক লক্ষ্মীপুর সংবাদ।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠকে বলেছেন- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা সব দলের অংশগ্রহণ চাই। প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ ভোটে যাকেই নৌকা দেওয়া হবে তাকে নিজগুণে জিতে আসতে হবে। কোনো ঝুঁকি নিতে চান না। তিনি বলেন, প্রতিটি নির্বাচনী আসন ধরে জরিপ চলছে। জরিপের আলোকে প্রার্থী বাছাই করা হবে। যাকে দিয়ে বিজয়ী হওয়া সম্ভব তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর এমন কথায়- আশাবাদী হয়ে উঠছে লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের দলীয় ও সাধারণ জণগন। তারা মনে করেন- নিজগুণে যদি জিততে হয় তবে লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মিয়া মোঃ গোলাম ফারুক পিংকু মনোনয়ন পেলে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে পারবেন।
গোলাম ফারুক পিংকু তরুণ প্রজন্মের কাছে যেমন জনপ্রিয় তেমনি তৃনমূল আওয়ামীলীগের আস্থার প্রতীক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। জেলার প্রত্যেকটি উপজেলায় স্থানীয় নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পার্থীদের নির্বাচিত করে স্থানীয় রাজনীতিতে নিজেকে টেনে নিয়ে এসেছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। লক্ষ্মীপুরে সাবির্ক উন্নয়ন ও হচ্ছে তার হাতধরেই। তাই দলীয় কর্মী-সমর্থকসহ এলাকাবাসীর অধিক আগ্রহের কারণ- আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থী হিসেবে আলহাজ্ব মিয়া মোঃ গোলাম ফারুক পিংকু কে নৌকা প্রতিক দিলে, বিজয় সুনিশ্চিত হবে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ আওয়ামী লীগ-যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নতুন প্রজন্মের নেতা-কর্মীরা,
এলাকাবাসীর অত্যন্ত আস্থাভাজন ও তাদের সুখ-দুঃখের অংশীদার হিসেবে গোলাম ফারুক পিংকুকেই আগামী সংসদ নির্বাচনে এমপি প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হবার পর লক্ষ্মীপুরের আওয়ামী রাজনীতিকে যেভাবে সুসংগঠিত করে সাজিয়েছেন এবং নেতা-কর্মীদের আস্থা অর্জন করেছেন সেখানে গোলাম ফারুক পিংকুর বিকল্প কোন প্রার্থী নাই।
আলহাজ্ব গোলাম ফারুক পিংকুর বর্ণ্যাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটির সভাপতি থেকে আরম্ব করে চৌমুহনী সরকারি কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, চৌমুহনী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক,জগ্ননাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক, লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পরে সহসভাপতি ও বর্তমানে টানা দুইবারের জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হয়ে দলের ও গণমানুষের সেবা করে যাচ্ছেন।
সর্বদা হাস্যোজ্জ্বল, বিনয়ী, নিরাংকারী ও অমায়িক ব্যক্তিত্বে কারনে ইতিমধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন অসহায়,দুস্থসহ গণমানুষের মনের মণিকোঠায়।এলাকার মানুষের সেবার তার দরজা সব সময় খোলা থাকে। প্রতিনিয়ত সকাল থেকেই দলের কর্মী ও সাধারন মানুষের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠে তার বাড়ির আঙ্গিনা।থাকে সবার জন্য মিষ্টিমুখসহ আপ্যায়নের ব্যবস্থা।যেটা লক্ষ্মীপুরের রাজনীতিক সংস্কৃতিতে এক অনন্য ঘটনা।হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও আগতদের সাথে কথা বলেন একান্তকরে চেষ্টা করেন মানুষের সেবা দেওয়ার।আর এমন সদব্যবহার ও সৌজন্যতায় চাওয়া-না পাওয়ার কষ্ট ভুলে মুগ্ধ সাধারন মানুষ।সাধারন মানুষের চাওয়া এমন একজন মানুষকে আগামীতে সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চায় তারা।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী বলেন, লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু হচ্ছেন মাটি ও মানুষের নেতা। একদম তৃণমূল থেকে কিভাবে দলকে সু-সংগঠিত রাখতে হয়। কিভাবে তৃণমূলের একজন নেতা-কর্মীর মন জয় করা যায় এসব গুণাবলী তার মধ্যে বিদ্যমান। এলাকার নেতা কর্মিসহ সকল জনগণ তাকে এম পি হিসাবে দেখতে চায়।
সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পিংকু ভাই একজন পরিপুর্ণ রাজনীতিবিদ।তিনি এমনই একজন নেতা যার নিজের পরিবার থেকে জনগণ ও রাজনীতিতে বেশি সময় ব্যয় করেন। স্থানীয় জনগণ তাকে সবসময়েই কাছে পায়। তাই স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীগণ এমন একজন কর্মীবান্ধব নেতাকেই এমপি হিসেবে পেতে চায়।
সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামাল উদ্দিন বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পিংকু ভাই একজন যোগ্যনেতা হিসেবে দলীয় নেতা কর্মী ও জনগণের সাথে রয়েছে তার যথেষ্ঠ সম্পৃক্ততা। তিনি একজন ন্যায় পোরায়ন। সে কারণে সারা লক্ষ্মীপুর জুড়ে গোলাম ফারুক পিংকুর রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। সে জনপ্রিয়তা থেকে দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণ তাঁকে এমপি হিসাবে পেতে চায়।
সদর উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু ভাই নেতা কর্মি ও জনগণের প্রিয় নেতা। নেতা হিসেবে ঘুরেফিরে তাকেই সবসময় কাছে পায়। তাই তার প্রতি এলাকার সাধারণ জনগনের বড় রকমের একটা আস্থা তৈরী হয়েছে। এ আস্থা থেকেই এলাকাবাসী তাকে এমপি হিসেবে পেতে চায়।
এ প্রসঙ্গে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মিয়া মোঃ গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি অসহায়-দুঃস্থ মানুষের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে বিভিন্ন অনুদান ও ভাতা যাতে প্রকৃত হকদারদের হাতে পৌঁছানো যায় সেই লক্ষ্যে সততার সঙ্গে কাজ করছি।এছাড়াও প্রত্যেকটি ইউনিয়নে দলীয় অসহায়-দুঃস্থ নেত কর্মী মাঝে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে প্রায় ৩ কোটি টাকার অনুদান এনে দিয়েছি। সে লক্ষে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মাঝি হিসেবে লড়তে চাই।এখানে জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকেই মনোনয়ন দেবেন আমরা তার সঙ্গেই থাকব।তবে মাঠের নেতাকর্মীর প্রত্যাশা যারা দূর্দিনে দলের অবদান রেখেছে, এখানে যারা সারাজীবন রাজনীতি করছে ত্যাগী তাদের দলীয় মনোনয়ন পাওয়া উচিৎ।