লক্ষ্মীপুরে ইউপি সদস্য মমিন উল্যার হাতে হামলার শিকার বৃদ্ধা ইব্রাহিম আমিন।

নিউজ ডেক্সঃ দৈনিক লক্ষ্মীপুর সংবাদ। 
লক্ষ্মীপুরে ইউপি সদস্য মমিনউল্যা ও তার আত্নীয়স্বজনের হাতে হামলায় শিকার হয়েছিলো ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা ইব্রাহিম আমিন ও তার আত্নীয়। লক্ষ্মীপুর চন্দ্রগঞ্জ থানার অন্তরগত ১৪নং মান্দারী ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ড মিয়াপুর অলি উল্যা ভূঁইয়া বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠ ইব্রাহিম আমিন। তিনি বহুদিন ধরে এলাকায় ও এলাকার বাহিরে স্ব নামের সাথে আমিনের কাজ করে থাকেন।এদিকে এলাকার জনপ্রতিনিধি ইউপি সদস্য মমিন উল্যা মেম্বার ও তার স্বজনদের হাতে বার বার হামলার শিকার হয়ে স্থানীয় ভাবে বিচার চেয়ে বিচার না পেয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হাজির হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ইব্রাহিম আমিন।
অভিযোগ সূত্রে ও সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, ২৩শে নভেম্বর রাত ৯টায় মিয়াপুর মাদ্রাসা ও এতিমখানার পাশের চা দোকানে ইব্রাহিম আমিনের শ্যালক আবুল হোসেন চা খাওয়ার জন্য বসেছিলো। এ-সময় মমিনউল্যা মেম্বারের আত্মীয় মোঃ জামাল চা দোকানে এসে আবুল হোসেনের সাথে কথা কাটাকাটির করে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে  হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তারই জের ধরে একই দিন রাত ৯.৩০ মিনিটে মান্দারী বাজার কমার্শিয়াল মার্কেটের সামনে পরিকল্পিত ভাবে মমিনউল্যা মেম্বারের স্বজন জামালসহ ৫/৬জন দলবদ্ধ হয়ে অতর্কিত হামলা করে ইব্রাহিম আমিনের শ্যলক আবুল হোসেনের উপর। খবর পেয়ে আত্মীয় স্বজনরা এসে অবস্থা খারাপ দেখে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে আবুল হোসেন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। জানা যায় আবুল হোসেন ৮নং দত্তপাড়া ইউনিয়নের ছৈয়দপুর মৃত আবদুর রব ভূঁইয়ার ছেলে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইব্রাহিম আমিনের মেঝো ছেলে প্রবাসী নুরুল আমিন  সোশ্যাল মিডিয়ায় (পেইজ বুক) স্টাটাস আপডেট দেয়। পেইজ বুক স্টাটাস দেখে মমিনউল্যা মেম্বার ইব্রাহিম আমিনের পরিবারের উপর ক্ষেপে যান।
২৫শে নভেম্বর শুক্রবার সকাল ৯টায়
নিজ এলাকায় কোনার বাড়িতে পরিমাপের সময় ইব্রাহিম আমিনের সাথে একত্রিত হন। সেখানে এলাকার জনপ্রতিনিধি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মমিন উল্যা মেম্বার  উপস্থিত হয়ে অতর্কিত ভাবে ইব্রাহিম আমিনকে এলোপাতাড়ি মারধর করে।
ইব্রাহিম আমিন দৈনিক লক্ষ্মীপুর সংবাদ কে বলেন, আমি জমিন পরিমাপ করার জন্য কোনার বাড়িতে পৌঁছালে মমিনউল্যা মেম্বার উপস্থিত ৪/৫ জন লোকর সামনে আমাকে বেধড়ক মারধর করে, গলাটিপে হত্যার চেষ্টা করে। বিষয়টি মান্দারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ প্রফেসার কে জানাই। মাসুদ প্রফেসার চেয়ারম্যান কে নিয়ে বিষয়টি সমাধান করার আশ্বাস দিলে উপস্থিত সকলের সামনে আমাদের সাথে বসবেনা বলে জানিয়ে দেয় মমিন মেম্বার। পরে সদর হাসপাতাল থেকে সাময়িক চিকিৎসা নিয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
ইব্রাহিম আমিনের স্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, মমিনউল্যা মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তার আত্নীয় স্বজন আমাদের পরিবারের উপর বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে। মমিন উল্যা মেম্বার কে জানালে আমরা তাকে ভোট দেই নাই বলি সে এড়িয়ে যায়। শুক্রবার সকালে মমিনউল্যা মেম্বার আমার বৃদ্ধা স্বামী কে বেধড়ক মারধর করে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা করে। মমিন মেম্বারের নির্দেশে আমার পরিবারের উপর গত এক বছরে ৫/৬ বার হামলা হয়। প্রশাসনের সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে সন্ত্রাসী মমিন মেম্বার ও তার অনুসারীদের বিচার হবে।
এ বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে ও মোবাইলে ফোন করে মমিন উল্যা মেম্বার কে পাওয়া যায় নাই।
এ বিষয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *