লক্ষ্মীপুরে বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাৎতের অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের পদত্যগের দাবীতে মানববন্ধন।

নিউজ ডেক্সঃ দৈনিক লক্ষ্মীপুর সংবাদ। 
লক্ষ্মীপুরে রাজাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাৎকারী প্রধান শিক্ষকের শাস্তি ও পদত্যগের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার ১২মে রাজাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সম্মুখের সড়কে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১১.০০ টা হইতে দুপুর ১২.০০টা পর্যন্ত ১ঘন্টাব্যপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যাবসয়ী ওমর ফারুক, দাতা সদস্য মোঃ আফসার উদ্দিন, সমাজসেবক খোরশেদ আলম, দাতা সদস্যের ওয়ারিশ মাহবুব হোসেন মনা।
স্থানীয় সমাজসেবক জসিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, দাতা সদস্যের ছেলে লোকমান হোসেন, মোঃ নাসির উদ্দিন, মোঃ বেল্লাল হোসেন, মোঃ সেলিম, নেসার আহমেদ, আব্দুর রহিম, জিল্লাল হোসেন, খোরশেদ আলম, রহিচ উদ্দিন, আব্দুল আলী, আব্দুল কাদের, জাহাঙ্গীর, রসুল আমিন, নুরুল আমিন, আব্দুল মকিম, মাসুদ হোসেন প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, রাজাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাৎ করেছে। প্রধান শিক্ষক ১০,২০,০০০ (দশ লক্ষ বিশ হাজার) টাকার হিসাব দিতে পারেনি। এযাবৎ তিনি বিদ্যালয়ের উন্নয়ন মুলক কোন কাজ করেনি। শিক্ষারমান উন্নত করেননি। স্কুল কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে ও কমিটি গঠন করেনি, কমিটি ছাড়ায় তিনি একাই মনগড়া স্কুল পরিচালনা করেন। করোনা কালীন সময়ে  ছাত্র ছাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত বেতন আদায় করেছেন। অনিয়ম, দূর্নিতী ও টাকা আত্মসাৎ এর কারণে মিডিয়াতে, পত্রিকাতে লেখালেখি হয়েছে। এ সকল অনিয়ম, দূর্নিতী ও বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাৎকারী প্রধান শিক্ষকের শাস্তি ও পদত্যাগের জোর দবী জানান।
জানা যায় যে,  ১জানুয়ারী ২০১৬ ইং হতে ৩১ মার্চ ২০২১ ইং পর্যন্ত বিদ্যালয়ের আয় ব্যায় পর্যালোচনা পূর্বক হিসাব নিরীক্ষা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে অভিভাবক সদস্য গোলাম কুদ্দুছ রাসেল কে আহবায়ক করে বিদ্যালয়ের কো -অপ্ট সদস্য মোঃ আলমগীর হোসেন ও শিক্ষক প্রতিনিধি ওবায়দুল হক ভুইঁয় কে সদস্য হিসাবে দায়িত্ব অর্পন করা হয়।
১১ অক্টোবর ২০২১ তারিখে হিসাব নিরীক্ষা কমিটি বিদ্যালয়ের সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমানের নিকট প্রতিবেদন পেশ করে। সে প্রতিবেদনে দেখা যায় যে বিদ্যালয়ের আয় ব্যায় বাদ দিয়ে ১০ লাখ ২০ হাজার ৫ শত ২৮ টাকা আয়ের উদ্বৃত্ত টাকা হয়। যা প্রতিষ্ঠানের সচিব হিসাবের যাবতীয় হিসাব সমন্বয় করা প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব বা অন্য কোন বিল ভাউচার দেখাতে পারে নাই।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, নিরীক্ষা কমিটির প্রতিবেদন সঠিক নয়।
পরবর্তী হিসাব করে ৮০ হাজার টাকা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক একাউন্টে রাখা আছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বিষয় এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষক বলেন, কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ন হওয়াতে এডব কমিটি প্রক্রিয়াধীন।বর্তমানে স্কুল পরিচালনা কমিটি নেই।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান বলেন,আমি সভাপতি থাকা অবস্থায় সঠিক হিসাব নিরীক্ষা কমিটি গঠন করা হয়। হিসাব নিরীক্ষা কমিটির প্রতিবেদনে বিদ্যালয়ের আয় ব্যায় বাদ দিয়ে ১০ লাখ ২০ হাজার ৫ শত ২৮ টাকা আয়ের উদ্বৃত্ত টাকা প্রধান শিক্ষক দেয়না হয়। পরে মিটিংয়ে উপস্থাপন করা হয়, তখন প্রধান শিক্ষক বলেন তিনি ৮০ হাজার টাকা দেয়না আছেন, হিসাব নিরীক্ষা কমিটির প্রতিবেদন সঠিক।পরে  এ বিষয়ে মিটিংয়ে জন্য প্রধান শিক্ষককে বললে তিনি বলেন আপনাদের কমিটির মেয়াদ শেষ।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আবু তালেব বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করে নাই। অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *