নিউজ ডেক্সঃ দৈনিক লক্ষীপুর সংবাদ।
বহুল আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা হারুন হত্যা মামলার আসামী ফেনী থেকে নিখোঁজ হওয়া লক্ষ্মীপুর স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা বরকত উল্যাহকে একটি দেশীয় এলজি ও এক রাউন্ড কার্তুজসহ বুধবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, তিনি সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ হারুন হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। বরকতকে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে ফজলুল হক গ্রেফতার ও জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি একে ফজলুল হক বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে অত্র থানায় হত্যা, ডাকাতি, অস্ত্র এবং অপহরণসহ মোট ০৮টি মামলা রয়েছে। আসামী বরকতের বিরুদ্ধে অত্র থানায় ১৮৭৮সনের অস্ত্র আইনে ১৯(A) ধারায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।গ্রেফতারের পর ১৬৪ ধারায় আদালতে তিনি হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার ঘটনায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে বরকতের মা সালেহা বেগম, বড় ভাই সালাহ উদ্দিন ও বোন বিউটি বেগমের দাবি, গত ১৯ ডিসেম্বর (রোববার) রাতে চট্টগ্রাম থেকে আসার পথে ফেনীতে রিজার্ভ গাড়ি থেকে নামিয়ে লক্ষ্মীপুরের পুলিশ পরিচয়ে বরকতকে তুলে নেওয়া হয়। ঘটনার পরপরই মুঠোফোনে বিউটিকে বরকত বিষয়টি জানান। এরপরই তার (বরকত) ফোন বন্ধ হয়ে যায়। মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) চন্দ্রগঞ্জ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করতে গেলেও পুলিশ তা নেয়নি। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে বরকতের সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে করে পরিবার।
অন্যদিকে বুধবার রাতে বশিকপুর ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রাম থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বরকতকে গ্রেফতার করা হয় বলে দাবি পুলিশের। এ সময় তার কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও এক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয় বলে জানানো হয়েছে।