নিজস্ব প্রতিনিধিঃ-লক্ষ্মীপুরে আলহাজ ইব্রাহিম মিয়া বালিক উচ্চ বিদ্যালয়ে মরহুম বীরমুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহম্মেদ পাঠাগারের উদ্ধোধন করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন আলহাজ ইব্রাহিম মিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অত্র বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মহি উদ্দিন এ-র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার সরকার।
অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহম্মেদ’র জোষ্ঠ্য পুত্র এবং অত্র বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মোঃ তোফাজ্জল হোসেন( সবুজ)।
এসময় জেলা যুব দলের সদস্য এনায়েত উল্যাহ ও এড. সামছুল আলমের যৌথ সঞ্চালনায় উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন অভি দাশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, (অ:দা:), লক্ষ্মীপুর সদর, চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপি’র আহ্বায়ক এম বেল্লাল হোসেন , যুগ্ন আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ ( মুন্সী), লক্ষ্মীপুর জেলা শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া, লক্ষ্মীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক মোল্লা মাসুদ, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক আলী করিম, যুগ্ন-আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী, মনির হোসেন, সোলায়মান, যুবদল নেতা কাজী সহিদসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মী,জন সাধারণ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিাকবৃন্দ।
বক্তারা রণাঙ্গণের বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহম্মেদ’র স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
লক্ষ্মীপুরের রাজনীতিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহম্মেদ এর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। দলের দুঃসময়ে চন্দ্রগঞ্জের নেতাকর্মীদের যেকোন সমস্যায় এই যোদ্ধা কখনো ভয় না পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্ভীকভাবে কাজ করেছেন। তিনি আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সবসময় বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন বলে জানায় উপস্থিত বক্তারা।
এসময় উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা লতিফপুর-পাঁচপাড়া সড়কের নাম বীরমুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহম্মেদ এর নামে করার প্রস্তাব করেন প্রধান অতিথি বরাবর।
প্রসঙ্গত, বীরমুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহম্মেদ সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনয়নের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের মৃত সুলতান মিয়ার ছেলে। গত (২২ নভেম্বর) তিনি ঢাকার ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
তার দানকৃত জমিতে আলহাজ ইব্রাহিম মিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঠাগারটি তার নামে গত (১লা জানুয়ারী) স্থাপিত হয়। যাহা এই বীর যোদ্ধার উদ্বোধন করার কথা ছিল।
মরহুম বীরমুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহম্মেদ’র জেষ্ঠ্য পুত্র, অত্র বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য ও অনুষ্ঠানের উদ্ধোধক তোফাজ্জল হোসেন সবুজ বলেন, “আমার বাবা বীরমুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহম্মেদ সব সময় সমাজের নির্যাতিত, নীপিড়িত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করতেন। শিক্ষা সংস্কৃতির উন্নয়নে কাজ করেছেন। আগামীতে আমরাও তার এই সামাজিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবো।
আমেরিকা প্রবাসী আরেক পুত্র আনোয়ার হোসেন পলাশ অডিও কনফারেন্সে উপস্থিত জনসাধারণের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাজিব কুমার সরকার বলেন, পাঠাগার হচ্ছে মনের হাসপাতাল। উপস্থিত ছাত্রীদের বলেন বই পড়ার মধ্য দিয়ে আলোকিত মানুষ হতে হবে। এছাড়াও তিনি লাইব্রেরিয়ানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তিনি যেন লাইব্রেরির পরিচর্যা করেন এবং ছাত্রীদের বই নিতে যেন কোন অসুবিধা না হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখেন। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে করার জন্য শিক্ষার্থীদের আহবান জানান।
পাশাপাশি অত্র বিদ্যালয়ের যে কোন প্রয়োজন সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।