লক্ষ্মীপুর রামগতি চর পোড়াগাছা জমি দখল কে কেন্দ্র করে বসত ঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ।

নিউজ ডেক্সঃ দৈনিক লক্ষ্মীপুর সংবাদ। লক্ষ্মীপুর রামগতি চর পোড়াগাছা জমি দখল কে কেন্দ্র করে বসত ঘরে হামলা ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
গত ২৫শে মার্চ রবিবার রাত আনুমানিক ২.০০টার সময় ৩নং চর পোড়াগাছা ইউনিয়নে ৮নং ওয়ার্ড চর পোড়া গাছা গ্রামে হাজেরা খাতুনের বসত ঘরে এ হামলা ও অগ্নি সংযোগের ঘটনাটি ঘটে। এসময় জরুরী সেবা ৯৯৯তে কল করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসার আগে হামলাকারীরা হাজেরা খাতুনের বসত ঘর ভাংচুর করে রান্নাঘরে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়।পরে পুলিশ ও এলাকার মেম্বার ও চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে এসে ঘটনাটি দেখেন।
হাজেরা খাতুন এই এলাকার হোসেন আহমেদের মেয়ে ও আজিউল্যার ভাতিজি। সে রিয়াজ নামের ইট ভাটার শ্রমিক কে বিয়ে করে বাপ চাচার সম্পত্তির উপর বাড়ি করে বসবাস করে আসছেন। আর হামলাকারী মিজানুর রহমান ও তার বাহিনীরা একই এলাকার বাসিন্দা।
ঐদিন রাত ১০.০০টার সময় অজিউল্যার পৈত্তিক জমিতে মিজানুর রহমান ও তার বাহিনীদের কে নিয়ে ভেকু দিয়ে জমিন দখলে গেলে অজিউল্যার ভাতিজি হাজেরা খাতুন খবর পৌছাইলে বাপ চাচারা এসে বাধা দেয়। এবং ৯৯৯তে কল করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ভেকুটি জব্দ করে ৩নং চর পোড়া গাছা ইউপি চেয়ারম্যানের হাওলা করেন।
তারেই জের ধরে ঐ রাতে হাজেরা খাতুনের বসত ঘরে হামলা করে ভাংচুর করে রান্নাঘরে অগ্নি সংযোগ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
সরজমিনে গেলে একাধিক গ্রামবাসীরা মিজানুর রহমান ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে এর আগে ও ভূমিদস্যু মিজানুর রহমান ও তার বাহিনী একাধিক লোকের জমি জবর দখলের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ তুলে।
এবিষয়ে অভিযোগকারী অজিউল্যা বলেন এই জমি আমার পৈত্তিক সম্পত্তি হিসেবে ভোগ দখলে আছি। হঠাৎ করে রাতের আঁধারে ভূমিদস্যু মিজান ও তার বাহিনী নিয়ে ভেকু দিয়ে আমার জমি দখল করতে আসে। তখন আমার ভাতিজি হাজেরা খাতুন আমাদের কে খবর দেয়, আমরা এসে বাধা দিয়ে পুলিশের সহায়তার জন্য ৯৯৯তে কল করলে পুলিশ ও এলাকার মেম্বার, চেয়ারম্যান এসে ঘটনা দেখেন এবং ভেকুটি জব্দ করেন। আমাদের খবর দেওয়ার কারণে আমার ভাতিজি হাজেরা খাতুনের ঘরে গভীর রাতে হামলা করে ভাংচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় ভুমিদস্যু মিজান ও তার বাহিনীরা।
হাজেরা খাতুন বলেন মিজান ও তার বাহিনীরা আমার চাচা অজিউল্যা মিয়ার জমি রাতের আঁধারে ভেকু দিয়ে দখল নিতে আসলে আমি খবর দেওয়ার কারণে রাত ২.০০টার সময় ভুমিদস্যু মিজান ও তার বাহিনী আমার ঘরে হামলা করে, আমাকে টানা হেচড়া করে আমার শ্লীলতাহানি চেষ্টা করে। আমি শোর চিৎকার করলে আমার রান্না ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
এইদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে মিজানুর রহমান বলেন আমি জমি দখলের বিষয় কিছুই জানিনা। এই জমি আমি সুজামিয়া থেকে খরিদ করে মালিক হয়ে মোঃ ফেরদৌসের কাছে বিক্রয় করি। হাজেরা খাতুনের ঘরে হামলার বিষয় ও কিছুই সে জানেনা
আরও জানা যায় এই মিজানুর রহমান চর আলগীর মৃত রুহুল আমিন হাওলাদারের ছেলে। এখানে সে বিভিন্ন লোকজন থেকে জমি খরিদ করেন এবং বাড়ি করে বসবাস করে আসছেন। তার মূলকাজ হলো জমি কেনা বেচার ব্যবসা, একজন থেকে খরিদ করে অন্য জনের কাছে বিক্রয় করা। এলাকাবাসী সাথে বিভিন্ন ধরনের মামলায় জড়িয়ে পড়ে। এই পযর্ন্ত ২০টিরও বেশি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে ৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির সবুজ ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেন,এবং বলেন মিজান এই এলাকায় এসে নামে বেনামে জমি ক্রয় বিক্রয় করে ঝগড়া  বিবাদ সৃষ্টি করেছে।স্থানীয় ভাবে কাউকে সে মান্য করে না।
এবিষয়ে চর পোড়াগাছা ইউপি চেয়ারম্যান মুঠোফোনে জানান খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশসহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। জমি দখলে ব্যবহৃত ভেকু আমার হেফাজতে আছে। উভয় পক্ষ নিয়ে সমাধান করা হবে।
এবিষয়ে রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন বলেন জরুরী সেবায় কল পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে, লিখিত অভিযোগ পেলে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *