দেশে তত্ত্বাধায়ক সরকার মরে গেছে। বিএনপি মরে যাওয়া ইসু নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে।ওবায়দুল কাদের এমপি।

নিউজ ডেক্সঃ দৈনিক লক্ষ্মীপুর সংবাদ।
২২শে নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা স্টেডিয়াম মাঠে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে তত্ত্বাধায়ক সরকার মরে গেছে।বিএনপি মরে যাওয়া ইসু নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে। আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপির সাথে  খেলা হবে। খেলা হবে মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে খেলা হবে। ভোট জালিয়াতির বিরুদ্ধে খেলা হবে। খেলা হবে ভূয়া ভোটার তালিকা তৈরীর বিরুদ্ধে, দুর্নীতির রিরুদ্ধে খেলা হবে। দুঃশাসনের বিরুদ্ধে খেলা হবে। খেলা হবে হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, খেলা হবে অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে, খেলা হবে সুইস ব্যাংকে টাকা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ডিসেম্বর আসছে অপশক্তি মাঠে নেমে পড়েছে। খেলা হবে তাদের বিরুদ্ধে, খেলা হবে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে। শেখ হাসিনা ২৪ নভেম্বর যশোর থেকে ডাক দিবে, আপনারা প্রস্তুত থাকেন। ৪ঠা ডিসেম্বর চট্টগ্রামের ফলোগ্রাউন্ডে জনসভার মাধ্যমে খেলা হবে। কার সাথে খেলা করতে আসছেন। আওয়ামী লীগের সাথে ? আওয়ামী লীগের সাথে খেলতে পারবেন না, ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ যাকে রাখে তাকে মারতে পারবেন না। ২০ বার চেষ্টা  করেও শেখ হাসিনাকে মারতে পারেন নাই। মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলের মুখে মধু, অন্তরে বিষে ভরা। তিনি মুখে যত সুন্দর কথা বলেন, অন্তরে তার তত বিষে ভরা। আমাদের নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু হয়ে গেছে তাই বিএনপির জ্বালা বেড়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু ট্যানেল তৈরী, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হয়ে গছে। মেট্রোরেল প্রস্তুত হয়ে আছে। তাই এত জ্বালা, জ্বালারে জ্বালা আওয়ামী লীগের উন্নয়নে বিএনপির জ্বালা। কোর্টে জঙ্গী ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা কারা ঘটিয়েছে, তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে। জঙ্গীবাদ কারা সৃষ্টি করেছে, কখন সৃষ্টি হয়েছে, আপনাদের মনে আছে ? শায়েখ আবদুর রহমান, বাংলাভাই কাদের সৃষ্টি? জঙ্গীবাদের বিস্বস্ত ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। আমাদের জঙ্গীবাদ বানাবেন না। জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করেছেন আপনারা, মদদও দিয়েছেন আপনারা। আমরা জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। আর আপনারা মদদ দিচ্ছেন। ফখরুল সাহেব প্রতিটি কথা মিথ্যা বলেন। বাংলাদেশে যদি আইন করে মিথ্যাচার নিষিদ্ধ করা হয়। তাহলে বিএনপির রাজনীতিই থাকবেনা। কারণ বিএনপির রাজনীতি হলো মিথ্যাকে পুঁজি করে।
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরউদ্দিন চেীধুরী নয়ন এমপির সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের  প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, প্রধান বক্তা ছিলেন দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আরো বক্তব্য রাখেন দলের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী,  ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, লক্ষ্মীপুর সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী এ কে এম সাহজাহান কামাল, লক্ষ্মীপুর -১ রামগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন খান প্রমূখ।
সম্মেলন শেষে প্রধান অতিথি দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষনা করেন। এতে সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধূরী নয়ন এমপিকে পুনরায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ঘোষনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *