নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দৈনিক লক্ষ্মীপুর সংবাদ।লক্ষ্মীপুর চন্দ্রগঞ্জ থানার অন্তরগত চরশাহী ইউনিয়ন গোবিন্দপুর গ্রামের ব্যবসায়ী আলাউদ্দিনের দেড় লাখ টাকার মালামাল চুরি করার অভিযোগ উঠে পাশবর্তী ১৮ নং কুশাখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড কল্যাণপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মোঃ হারুনের (৪০) বিরুদ্ধে।
গত ২৯শে সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ২.০০টার সময় গোবিন্দপুর গ্রামে মোসলেহ উদ্দিনে নতুন বাড়ির সামনে রাস্তার উপর এ চুরির ঘটনা টি ঘটে।
এবিষয়ে ব্যবসয়ী আলাউদ্দিন লক্ষ্মীপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট অমল অঞ্চন চন্দ্রগঞ্জ এর আদালতে মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং সি আর ৪৯৫/২২।
মামলা সূত্রে জানাযায় যে,ব্যবসয়ী আলাউদ্দিন নিজ এলাকায় পানির মেশিন, হাইড্রলিক ও ভেকু মেশিন এবং ইট, বালি, মাটির একজন ব্যবসয়ী। ঘটনার দিন আলাউদ্দিন কাজ শেষে তিন টি পানির মেশিন সহ তেল, মোবিল ভূর্তী ড্রাম গোবিন্দপুর গ্রামে মোসলেহ উদ্দিনের বাড়ির সামনে রেখে দেয়।পরের দিন উল্লেখিত মালামাল চুরি হওয়ার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিশ্চিত হয়। পরে বিষয়টি স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও দাসের হাট পুলিশ পাড়িতে অবগত করে। তিন দিন পর চুরি হওয়া তিনটি পাম্প মেশিন ও তেলের ড্রামসহ হারুনের বশত ঘরের পাশে পলেথিন দ্বারা মোড়ানো অবস্থায় দেখিতে পায় বলে খবর পেয়ে লোকজন নিয়ে তল্লাশি করতে হরুনে বাড়িতে গেলে হারুন টের পেয়ে মালামাল সরিয়ে ফেলে।তার এক দিন পারে হারুন বসুর হাটে চোরাই কৃত মালামাল বিক্রয় জন্য এক দুই দোকানে আলাপ কালে বিষয় টি বসুর হাট বাজার সেক্রেটারি মোরশেদ আলম জানতে পারলে পরবর্তীতে অন্যত্রে সরিয়ে ফেলে হারুন।
এবিষয়ে বসুর হাট বাজার সেক্রেটারি মোরশেদ আলম বলেন, আলাউদ্দিনের মালামাল চুরি হওয়ার বিষয় অবগত করে, এবং নজর রাখতে বলে। কিছু দিন আগে জানতে পারি জাপরপুরে এক লোক পাম্প মেশিন বিক্রি করতে আসে,তাকে আমি চিনিনা, তখন আলাউদ্দিন কে বলি, আলাউদ্দিন খোজ খবর নিয়ে জানতে পারে হারুন মেশিন বিক্রি করতে লোক পাঠাইয়াছে। পরে দাসের হাট পুলিশ পাড়িতে বিষয়টি মিমাংসার জন্য বসলে হারুন ধরা না দিয়ে মোবাইল বন্ধ করে রাখে। পরে আলাউদ্দিন কোটে মামলা করেছে বলে আমাকে অবিহিত করে।
মোঃ হারুন চুরির বিষয়টি অশ্বিকার করে বলে, ২০১৯ ও ২০২০ সালে আলাউদ্দিন আমার জমিনের পাশে বালির মেশিন বসায়ে বালি উত্তোলন করার চেষ্টা করলে আমি বাধা দিয়ে বন্ধ করাই। তার মালামাল চুরি হওয়ার বিষয় কিছুই জানিনা।
লক্ষ্মীপুর জজ কোটের আইনজীবি এড.শামসুদ্দিন মোল্লা বলেন, চরশাহী থেকে আলাউদ্দিন নামে একব্যক্তি মামলা করার জন্য আসে। তার অভিযোগ শুনে লক্ষ্মীপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট অমল অঞ্চন চন্দ্রগঞ্জ এর আদালতে মামলা হয়। বর্তমানে মামলটি তদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর গোয়েন্দা অফিসকে দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।