এদিকে লক্ষ্মীপুর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন, প্রচার ও সহ-প্রচার সম্পাদক আব্দুর রশিদ, আবদুল করিম, শিক্ষক হেলাল উদ্দিন কে হাসপাতালে দেখতে আসেন। এসময় নেতৃবৃন্দরা শিক্ষকের উপর এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
লক্ষ্মীপুরে ছাত্রের হাতে শিক্ষক লাঞ্চিত।
নিউজ ডেক্সঃ দৈনিক লক্ষ্মীপুর সংবাদ। লক্ষ্মীপুরে ছাত্রের হাতে হেলাল উদ্দিন (বিএ সি) নামক এক শিক্ষক লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার ২৮মে সকাল ৭ঃ৩০ ঘটিকায় কর্মস্থলে যাওয়া পথে টুমচর আলিয়া মাদ্রাসার পাশে লতিফ ডাক্তারের বাড়ি সামনে রাস্তার বাঁকে এই ঘটনাটি ঘটে।
প্রতিদিনের ন্যায় মান্দারী গন্ধব্যপুর নিজ বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল যোগে টুমচর আসাদ একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজের উদ্দেশ্য রওনা দেয় শিক্ষক হেলাল উদ্দিন। ঘটনার স্থলে পৌঁছালে মুরাদ হোসেন নামের বখাটে ছাত্র ও তার সংঙ্গিদের হাতে লাঞ্ছিত হয়। খবর পেয়ে শিক্ষকরা এসে উদ্ধার করে, চিকিৎসার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
আসাদ একাডেমির রেকর্ড সুত্রঃ থেকে জানা যায় যে,২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পরিক্ষার্থী ছিল এ মুরাদ হোসেন। টেস্ট পরিক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়াতে পরিক্ষা দিতে পারে নাই। সে টুমচর ফজল আলী আলকাডিয়া বাড়ির আবুল কাশেম ও মুর্শিদা বেগমের ছেলে।
হাসপাতালের চিকিৎসাধীন শিক্ষক হেলাল উদ্দিন জানান বিগত ২০১৭ সালে টেষ্ট পরীক্ষায় ফেল করার কারণে মুরাদ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি ওই সময়ে দায়িত্বরত অধ্যক্ষ তাকে সুযোগ দেয়নি। আমি কোন অন্যায় করিনি তারপরও মুরাদের নেতৃত্ব ৬-৮ জন সন্ত্রাসী আমার উপর হামলা করে এবং মটরসাইকেল ভাংচুর করে। হামলকারী সবাইকে আমি চিনিনা শুধু মুরাদকে চিনতে পেরেছি।
টুমচর আসাদ একাডেমী অধ্যক্ষ ফারজানা নুর জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখ জনক। প্রাক্তণ ছাত্র কি ভাবে শিক্ষকের উপর হামলা করে। আমরা বিদ্যালয়ে সব শিক্ষক বসেই আজই সিদ্ধান্ত নিবো। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রক্রিয়া চলছে।