লক্ষ্মীপুরে ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী হওয়ার জন্য অনার্স থেকে একাদশে ভর্তি।

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ-লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী হওয়ার জন্য অনার্সে ভর্তি বাতিল হওয়ায় মেহরাব হোসেন নামের এক ছাত্র নেতা ৫আগষ্ট পরবর্তী সময়ে একই কলেজে একাদশ বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এন্ড টেকনোলজি (বিএমটি) শাখায় ১ম বর্ষে ভর্তি হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রিয়ব্রত চৌধুরী।

কলেজ সূত্রে জানাযায়, মেহরাব হোসেন কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে অনার্স ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের একজন শিক্ষার্থী ছিল। সে বিদেশ চলে গেলে তার শিক্ষাবর্ষের মেয়াদ শেষ হয়ে যায় এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার ভর্তি বাতিল হয়ে যায়। পরবর্তীতে সে বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এন্ড টেকনোলজি (বিএমটি) শাখায় একাদশ ১ম বর্ষে ভর্তি হয়। সে বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ১মবর্ষের একজন ছাত্র।
জেলার অন্যতম কলেজ হওয়ায় এই কলেজে নেতৃত্বে আসার জন্য অনেকেই পূর্ব থেকে নানা অনিয়ম করে কলেজের ছাত্র রাজনীতির দায়িত্বে এসেছে। যার ফলাফল খুবই খারাপ ছিল। বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতির পরে অনেক অছাত্র নিজেকে ছাত্র দাবী করে ছাত্র রাজনীতির দায়িত্বে আসার অপকৌশল করছে বলে বিভিন্ন সূত্রে তথ্য পাওয়া যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, মেহরাব হোসেন শেখপুর গ্রামের হোসেন আহম্মদের ছোট ছেলে।
সে দীর্ঘদিন বিদেশ থাকার কারনে তার অনার্সের ভর্তি বাতিল হয়ে যায়। পরিবর্তীতে সে ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার আশায় পুনরায় বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এন্ড টেকনোলজি (বিএমটি) শাখায় একাদশ ১ম বর্ষে ভর্তি হয়।
রাজনীতির জন্য অনার্সের কোন ছাত্রের একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে তরুণ ছাত্রনেতারা হতাশা ভোগ করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাদশ ১মবর্ষের একজন নিয়মিত ছাত্রনেতা জানান, আমরা এখন মাত্র কলেজ জীবনের রাজনীতি শুরু করলাম,এখন যদি সিনিয়র কোন বড় ভাই আবার একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয় তাহলে আমাদের আগামী রাজনীতির কি ভবিষ্যৎ ?
দলীয় সূত্রে জানাযায়,কফিল উদ্দিন কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থীর তালিকায় রয়েছে শাহাদাত হোসেন রিংকু,আজিম হোসেন হারুন, আবুল কালাম, মেহরাব হোসেন। এই চার জনের বর্তমান কলেজের কে কোন শ্রেণীতে ভর্তি আছে বিষয়ে জানাযায়, শাহাদাত হোসেন রিংকু অনার্স ৩য়বর্ষ (নিয়মিত),আজিম হোসেন হারুন একাদশ বিএমটি শাখায় ১মবর্ষ,আবুল কালাম অনার্স(ম্যানেজমেন্ট)শেষবর্ষ এবং মেহরাব হোসেন একাদশ বিএমটি শাখায় ১মবর্ষ।
এছাড়াও একই কলেজে ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক প্রার্থীর তালিকায় রয়েছে ফয়সাল আহম্মদ সজীব, রবিউল আউয়াল,সাইফুল ইসলাম হৃদয় এবং তুহিন।
লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম বলেন,‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সংবিধান অনুযায়ী একাদশ শ্রেণীর কোন ছাত্র কলেজ ছাত্রদলের কমিটির সভাপতি/সাধারন সম্পাদক হওয়ার সুযোগ নাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *