লক্ষীপুরে যৌতুক দাবী করে গৃহ বধুর উপর নির্যাতন।

 

লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাদিন ১৮ নং কুশাখালি ইউনিয়নের কাঠালি গ্রামে যৌতুকের দাবি করে গৃহ বধুকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া যায় ।

গত ৯/৮/২০২১ ইং রোজ সোমবার সকাল ৭:০০ গঠিকার সময়, ১৮ নং কুশাখালি ইউনিয়নের কাঠালি গ্রামের চৌকিদার বাড়িতে মারজাহান বেগম (২৬) এর উপর যৌতুকের দাবি করে নির্যাতন করে স্বামী সাদ্দাম হোসেন (২৮) শশুর রুহুল আমিন শাশুড়ী রহিমা বেগম, সরেজমিনে গেলে মারজান বেগম বলেন মোঃ সাদ্দাম হোসেন, পিতা রুহুল আমিন এর সহিত পৃর্ব হইতে আমার ভালোবাসার সম্পর্ক থাকায় আমরা বিগত ২৬ /৪ /২০১১ ইং তারিখে ১০ লক্ষ টাকা দেনমহর ধার্য করে রেজিষ্ট্রি করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্দ হই। উক্ত বিবাহের পর আমাদের উবয়ের পরিবার এবং আত্বীয় স্বজন গন উক্ত বিবাহ মানিয়া নেয়। পরবর্তিতে ২ বরি ৮ আনা ওজনের স্বর্ন গহনা সহ বিভিন্ন জিনিস পএ দিয়া আমার পিতা আমাকে স্বামির বাড়িতে ঘর-সংসার করিতে উঠাইয়া দেয়। দাম্পত্য জিবনে আমাদের ২ টি পুএ সন্তান জন্ম নেয় কিচুদিন পর আমার স্বামী সাদ্দাম হোসেন আমার নিকট ৫ লক্ষ টাকা দাবী করে উক্ত যৌতুক এর টাকার বিষয়ে আমি আমার পিতাকে জানাই লে তিনি ৪ লক্ষ টাকা খরচ করিয়া আমার জন্য টিনের ঘর নির্মান করিয়া দেন কিছু দিন যাওয়ার পর আমার স্বামী সাদ্দাম হোসেন সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করে আমাকে সুখে শান্তিতে সংসার করিতে দেয় নাই। বিদেশ যাওয়ার কথা বলে স্বামী শুশুর শাশুড়ী ৫ লক্ষ টাকা যতুক দাবি করিয়া বিভিন্ন ভাবে শারির নির্যাতন করে আহত করে।আমার পিতা আমার ভবিষ্যৎ সুখের আশায় আমার স্বামীকে শশুর শাসড়ির মোকাবিলা বিদেশে যাওয়ার জন্য স্বামীর হাতে ৩ তিন লক্ষ টাকা হাওলাত হিসাবে প্রদান করেন। উক্ত টাকা নিয়া বিদেশে না গিয়ে আমার স্বামী নষ্ট করিয়া ফেলে।পুনরায় আমার কাছে ৩ তিন লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে নির্যাতন করায়
আমি বিগত ১৯/০৮/২০১৮ইং তারিখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ১১গ/৩০ ধারায় আমার স্বামী শশুর ও শাসড়ি বিরুদ্ধে মামলা নং ১৭৪/১৮ দায়ের করি। উক্ত মামলাটি দায়ের পর আমার স্বামী শশুর শাসড়ি আমার সহিত খারাপ আচরণ
করিবেনা, যৌতুকের দাবি করে নির্যাতন করিবেনা আশ্বাস দেওয়ায় আমার সন্তান দের ভবিষ্যত চিন্তা করিয়া মামলা টি প্রত্যাহার করিয়া নি । পুনরায় স্বামীর বাড়িতে ঘর সংসার করিতে যাই। কিছু দিন যাওয়ার পর আমার স্বামী পুনরায় ৫পাঁচ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করিয়া থাকে, এবং আমাকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করিতে থাকে । জনৈক মহিলার সহিত পরকিয়া লিপ্ত থাকে ।
গত ০৯/০৮/২০২১ইং রোজ সোমবার সকাল ৭:০০ঘটিকার সময় আমার স্বামী আবার বিদেশে যাইবে বলে আমার নিকট ৫ পাঁচ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে,আমি উক্ত টাকা দিতে রাজি না হলে আমার স্বামী আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করিয়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারাত্মক ফুলা জখম করে । আমার গলা চিবিয়া ধরে প্রানে হত্যার চেষ্টা করে । আমার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ঘটনা স্হলে আসিয়া আমাকে উদ্ধার করে। প্রতিবেশীর মোবাইলে খবর পাইয়া আমার বাবা কয়েক জন লোক নিয়া সি এন জি যোগে ঘটনা স্হলে আসিয়া আমাকে উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়া চিকিৎসা করায় ।
মননীয় বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর সংশোধিত ২০০৩ এর ১১গ/৩০ ধারায় মামলা দায়ের করি। মামলা নং ২৭৫/২১ইং।
এই বিষয়ে স্বামী সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *