লক্ষীপুর রামগঞ্জে এক গৃহবধুর দুই স্বামী সুজন ও শুভ।

দৈনিক লক্ষীপুর সংবাদঃ নিউজ ডেক্স।
লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার বদরপুর গ্রামে এক গৃহবধু শান্তার দুই স্বামী সুজন ও শুভ। এনিয়ে চলছে সমালোচনার ঝড়।
পাসপোর্ট করতে গিয়ে ধরা পড়ে প্রতারনার এমন চিত্র। আর এই ঘটনাটি ধামাচাপা
দিতে প্রতারক চক্র উঠে পড়ে লেগেছে।
সুত্রে জানায়,উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের আশোক মুন্সি বাড়ির বেল্লাল হোসেনের মেয়ে জান্নাত আক্তার শান্তা।
শান্তাকে পাশ্বর্তি বদরপুর গ্রামের নুর মোহাম্মদের পুত্র আমির হোসেন সুজনের সাথে ২০১৭ সালে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছরে দম্পত্তির সংসারে একটি ছেলে সন্তানের জম্ম হয়।
অপরদিকে দেখা যায়যে, ২০১৬ সালে ২০ই জুন মাসে জান্নাত আক্তার শান্তার সাথে গাজীপুর গ্রামের জয়নাধন শীলের ছেলে শুভ এর বিয়ে হয়। বিয়ের কাবিন নামা নিয়ে বেড়াজাল সৃষ্টি হয়। দেখা যায় ওই কাবিননামার দিনেই শুভ চন্দ্রশীল নোটারি পাবলিক লক্ষীপুর মাধ্যমে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম ধর্ম গ্রহন করে এবং একই দিনেই ৫ লক্ষ টাকা দেনমোহরে জান্নাতকে বিয়ে করে। যার রেজিষ্ট্রেশন ২৫-৮-২০২০ সালে।
সরেজমিনে গিয়ে স্বামী আমির হোসেন সুজনকে না পেয়ে তার পিতা নুর মোহাম্মদ থেকে জানতে চাইলে,তিনি বলেন,আমার পুত্রবধু জান্নাত আক্তার শান্তা কালিকাপুর দেওয়ান বাজার নাপিত জয়নাধনশীলের ছেলে শুভ চন্দ্র শীলকে বিয়ে করে বিদেশ যেতে পাসর্পোট করতে দেয়। পাসর্পোটে স্বামীর নাম মোঃ শুভ দিলেও সন্তানের বাবার নাম আমার ছেলের নাম আমির হোসেন সুজন দেয়। এতে পাসপোর্ট তদন্তকারীকর্মকর্তা এলাকাতে তদন্তে আসলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
তিনি আরো বলেন, শুনেছি বাসু বাজারস্থ এলাকার সজিব নামের এক দালালের সাথে দেড় লক্ষ টাকার চুক্তি হয়। জান্নাত এবং তার সন্তানকে পাসর্পোট করে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার।
শুভ চন্দ্র শীলের পিতা জয়নাধন শীল বলেন,আমার ছেলে বিদেশ থাকাবস্থা জান্নাতের সাথে সম্পর্ক। সম্পর্ক থাকাবস্থায় আমাকে একবার ফোন দিয়ে জান্নাতকে টাকা দিতে বলে। ছেলের কথা মতো টাকা দিলেও জান্নাত পরে ওই টাকা ফেরত দেয়। ২০২০ সালে বিদেশ থেকে আসার পরে হিন্দু ধর্মানুসারে শুভ বিয়ে করে আবার বিদেশ যায়। এখন লোকের মুখে মুখে শুনি মুসলিম গৃহকধুকে আমার ছেলে বিয়ে করেছে। তবে এলাকাতে প্রচার হওয়ার পর থেকে আমার ছেলের মোবাইল বন্ধ।
এব্যাপারে গৃহবধু জান্নাত আক্তার শান্তা বলেন, শুভ বিদেশ থাকাবস্থায় শুভ এর সাথে আমার ফেকবুকে পরিচয় হয়। তিন বছর পরিচয়ে কখনো বলেনি শুভ হিন্দু। ২০২০ সালের শেষের দিকে বিদেশ থেকে দেশে এসে আমাকে দুই বার লক্ষীপুর কোডে নিয়ে যায় এবং আমাকে বিদেশ নিবে বলে কাগজে স্বাক্ষর নেয়। শুভ বিদেশ ফিরে যাওয়ার পরে আমি পাসপোর্ট করতে দিলে ঝামেলা শুরু হয়। তবে শুভ এর কথামতোই বাসু বাজার এলাকার সজিবের কাছে কাগজপত্র জমা দিই।
শান্তা আরো বলে, নোটারী পাবলিক লক্ষীপুর মাধ্যমে ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট তারিখের নিকাহনামা বাতিল করার জন্য একটি ঘোশনা মুলুক এফিডেভিড করি, এফিডেভিড নং ১০ তাং০১-০৮-২০২০ইং। পতারক ও নারি প্রচারকারী শুভর সাথে সম্পর্ক রাখতে চাই না। আমি সুজনের সাথেই থাকতে চাই ।
এই বিষয়ে দালাল সজীব কে ফোন দিয়ে পাওয়া যায়নি।
এই বিষয়ে করপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুল হক মজিব বলেন,ঘটনাটি লোকের মুখে শুনেছি। এই ধরনে ঘটনায় গ্রাম্য আদালতের একতিয়ার নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *