লক্ষ্মীপুরে জাল দলিল করে জমি জবর দখলের অভিযোগ ভূমিদস্যু নেছার ব্যাপারীর বিরুদ্ধে।

নিউজ ডেক্সঃ দৈনিক লক্ষ্মীপুর সংবাদ। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা ১৩নং দিঘলী ইউনিয়নের পূর্ব দিঘলী গ্রামে ১৩৩নং দিঘলী মৌজায় ১৫৩ শতাংশ জমিন জাল জালিয়াতির দলিলের মাধ্যমে মালিক দাবী করে জোর জবর দখলের অভিযোগ ভূমিদস্যু নেছার আহমেদ ব্যাপারীর বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার জয় নারায়নপুর মূত গোলাম মোস্তফার ছেলে মনির হোসেন।
মনির হোসেন গংদের লক্ষ্মীপুর সদর এর অন্তর্গত ১৩৩নং দিঘলী মৌজার সি.এস ৪১১নং খতিয়ানভূক্ত ১৫৩ শতাংশ মালিকীয় ও দখলিয় ভূমি নেছার আহমেদ গং বিগত ১৮-১০-২০১৭ইং তারিখে অনিল চন্দ্র সূত্রধর কে দাতা সাজাইয়া ৩১৩৯নং দলিল সৃজন করে ভূমির মালিক সাজে। যাহা নিঃস্বত্ববান ব্যক্তি হইতে সৃজিত হয়। উক্ত জাল জালিয়াতি দলিলের বিরুদ্ধে মনির হোসেন গংরা বাদী হয়ে ২০/১১/২০১৯ইং তারিখে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন।যার মামলা নং ১৯২/২০১৯.
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, বিতর্কিত ভূমির পাশেই এই নেছার ব্যাপারীর বাড়ি।সে সুবাদে নেছার ব্যাপারী কে একসময় বর্গা চাষী হিসেবে জমিন দেখা শুনার দায়িত্ব প্রধান করে মনির হোসেন গংরা। দীর্ঘদিন যাবত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ভূমির লোভে পড়ে নেছার ব্যাপারী। তখন ভূমি লোভী নেছার ব্যাপারী জাল জালিয়াতির আশ্রয় নেয়। একসময় সে জাল দলিলের মাধ্যমে জমির মালিক দাবী করে। তখন থেকে উভয়ের মধ্যে দেন-দরবার শুরু হয়।
আরো জানা যায় ০৬/০৪/২০১৯ইং তারিখে দিঘলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে সমাধানের জন্য বৈঠক হয়। সে বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে নেছার আহমেদ ব্যাপারী এই বিতর্কিত ১৫৩ শতাংশ ভূমি খরিদ করে নিতে রাজি হয়, মনির হোসেন ও জমি বিক্রয় করতে রাজি হয়। সে বৈঠকে ১৫৩ শতংশ জমিন ২৪,২৩০০০টাকা দাম সিদ্ধান্ত করে বায়না চুক্তি করা হয়। সে বায়না চুক্তির শর্ত অমান্য করে ভূমিদস্যু নেছার আহমেদ ব্যাপারী ভূমি জবর দখল করে নিতে চেষ্টা চালায়। নিরুপায় হয়ে মনির হোসেন গংরা আইনের সহায়তা ও মিডিয়ার সহযোগীতা চায়।
এবিষয়ে মনির হোসেন বলেন আমাদের পৈত্তিক সম্পত্তি ২৫৮ শতাংশ জমিনে কাগজিক ভাবে মালিক থাকিয়া প্রায় ৯৮ বছর ভোক দখলে আছি। আমাদের বসত বাড়ি নোয়াখালী হওয়ায় একসময় বর্গাচাষী হিসাবে নেছার আহমেদ ব্যাপারী কে জমি চাষ করার জন্য বর্গা দিয়েছি। লোভী ভূমিদস্যু নেছার ব্যাপারী জাল জালিয়াতি দলিল করে জমি দাবি করে জোর করে দখলের চেষ্টা করে। আমাদের কে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে ভয় বৃতি দেখায়। জাল জালিয়াতির দলিলের জন্য ভূমিদস্যু নেছার আহমেদ এর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছি। ২০১৯ সালে দিঘলী ইউনিয়ন পরিষদে তাকে নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে সে ১৫৩ শতাংশ জমি খরিদ করার জন্য রাজি হয়। ২৪,২৩০০০ টাকা দাম সিদ্ধান্তে বায়না চুক্তি হয়। সে বায়না চুক্তি অমান্য করে এই ভূমিদস্যু নেছার আহমেদ ব্যাপারী। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই আইনের সহায়তা এবং মিডিয়ার সহযোগিতা কামনা করি।
অভিযোগ অস্বীকার করে নেছার আহমেদ ব্যাপারী বলেন আমি ওদের ওয়ারিশদের থেকে খরিদ সুত্রে মালিক, ওয়ারিশদের জমিন মনির হোসেন গংদের নামে রেকর্ড হয়। আমি রেকর্ড সংশোধনের মামলা করেছি।
সরজমিনে গেলে নেছার ব্যাপারী মামলার কাগজপত্র দেখাতে পারে নাই।
দিঘলী ইউ পি সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় মনির হোসেনের অভিযোগের আলোকে উভয় পক্ষের মনোনীত লোকের উপস্থিতিতে সমাধান করে বায়না চুক্তি করে দেওয়া হয়েছিল।
এবিষয়ে বর্তমসন চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন চৌধুরী জাবেদ বলেন উভয় পক্ষ সমাধানের জন্য আমার কাছে এসেছে। উভয়ের মামলা আছে বলে। মামলা তুলে আসলে সমাধানের জন্য চেষ্টা করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *